জানেন কী? জমজ সন্তান কেন হয় …জানুন ছবিতে ক্লিক করে
নারীর ডিম্বানুর সাথে পুরুষের দুইটি শুক্রানু নিষিক্ত হলে নারীর জরায়ুতে জমজ সন্তানের সৃষ্টি হয়।
অনেক মা-ই প্রসবের সময় এক সাথে দুই বা কখনো তার অধিক সন্তানের জন্ম দিয়ে থাকেন। এ নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে। গর্ভে একের অধিক সন্তান ধারণ করা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এজন্য স্বামী বা স্ত্রী মধ্যে কে দায়ী, তা নিয়েও গবেষণার প্রয়োজন নেই। ধরে নিতে হবে এটা প্রকৃতি প্রদত্ত। এর পেছনে অন্য কিছুর হাত নেই।
মায়ের দেহে সাধারণত একই সময়ে একটি মাত্র ডিম্বাণু দুটি ডিম্বাশয়ের যে কোনও একটি থেকে নির্গত হয়। যদি দুটি ডিম্বাশয় থেকেই একটি করে ডিম্বাণু একই সময়ে নির্গত হয়, তবে ওভ্যুলেশন পিরিয়ডে তার শরীরে মোট দুটি ডিম্বাণু থাকে। এসময় মিলন হলে পুরুষের শুক্রাণু উভয় ডিম্বাণুকেই নিষিক্ত করে। একটি নিষিক্ত ডিম্বাণু প্রথমে দুইটি পৃথক কোষে বিভক্ত হয়। পরবর্তীতে প্রতিটি কোষ থেকে একেকটি শিশুর জন্ম হয়।
এখানে দুটি কোষ যেহেতু পূর্বে একটি কোষ ছিল, তাই এদের সব জীন একই হয়ে থাকে। একারণে এরা দেখতে অভিন্ন হয় এবং একই লিঙ্গের হয়। এভাবেই নন-আইডেন্টিক্যাল টুইন শিশুর জন্ম হয়। এসব শিশু সবসময় একই লিঙ্গের নাও হতে পারে এবং তারা দেখতে ভিন্নও হতে পারে।
যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনাঃ
গর্ভধারণের শুরু থেকেই গর্ভবতী মায়ের বেশি বেশি শরীর খারাপ লাগতে থাকে। গর্ভাবস্থায় পেটের আয়তন স্বাভাবিক নিয়মের তুলনায় বেশ বেড়ে যায়। পরিবারে কেউ যমজ থাকলে জমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবণা থাকে। এমনকি চিকিৎসার মাধ্যমে নিঃসন্তান মায়েরা যখন গর্ভধারণ করেন তখনও জমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবণা থাকে।
গর্ভধারণের দুমাসের মাথায় আল্ট্রা সাউন্ড পরীক্ষায় যমজ সন্তান হবে কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়। অভিন্ন যমজ কিনা তাও এসময় বলা যেতে পারে। না পারা গেলে পরবর্তী সময়ে আবার পরীক্ষা করিয়ে জেনে নেওয়া যায়।
গর্ভে যমজ সন্তান থাকলে অতিরিক্ত সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কেননা যমজ শিশুর জটিলতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিশেষত অপরিপক্ক শিশু হওয়ার একটা আশংকা থেকেই যায়। অভিন্ন যমজ হলে ১৬ সপ্তাহের পর প্রতি ২-৩ সপ্তাহ অন্তর আল্ট্রাসাউন্ড করা ভাল। অভিন্ন না হলে ৪ সপ্তাহ অন্তর। তবে যমজ সন্তান হলে সিজার করাটাই নিরাপদ।.