রাতে ফিরছে ইতিহাস গড়া ফুটবল দলের একাংশ
আরো বড় ইতিহাস গড়ার হাতছানি ছিল বাংলাদেশের সামনে। এশিয়ান গেমস ফুটবলের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়াকে হারাতে পারলে নতুন উচ্চতায় উঠতো লাল-সবুজ দেশের ফুটবল। কিন্তু ফিফা র্যাংকিংয়ে ৮৬ ধাপ এগিয়ে থাকা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আর পেরে উঠেনি বাংলাদেশ। এশিয়ান গেমসে জেমি ডে’র দলের দৌঁড় তাই থেমেছে শেষ ষোলোর লড়াইয়েই।
কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা না হলেও গ্রুপ পর্বে কাতারকে হারিয়ে বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন ইতিহাস লিখে ফেলেছেন জামাল ভূঁইয়া, সুফিল আর সাদ উদ্দিনরা। এই প্রথম এশিয়ার সবচেয়ে বড় ও মর্যাদার ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় গ্রুপ পর্ব টপকিয়ে নকআউট পর্বে উঠেছে বাংলাদেশ। ২০২২ এশিয়ান গেমস পর্যন্ত এশিয়ার সেরা ১৬ দলের তালিকায় রয়ে যাবে বাংলাদেশের নাম।
এবারের জাকার্তা-পালেমবাং এশিয়ান গেমসে যখন চারিদিক থেকে কেবল ব্যর্থতার খবর ভেসে আসছিল দেশে, তখন ফুটবলাররা মানুষকে ভাসিয়েছেন আনন্দের বন্যায়। ঈদের ঠিক আগে এমন একটি অর্জন দেশের মানুষের মনে যোগ করেছিল বাড়তি আনন্দ। ইতিহাস সৃষ্টি করা সেই ফুটবলাররা দেশে ফিরছেন শনিবার রাতে।
তবে এক সঙ্গে নয়, ফুটবল দলের সদস্যরা ঢাকায় আসছেন দুইভাগে। ফ্লাইট সমস্যায় ২১ জন আসছেন শনিবার রাতে, বাকি ১৪ জন পরের রাতে। তবে দেশে ফিরেও বীর ফুটবলাররা ছুটি পাচ্ছেন না। এক সঙ্গে থাকবেন রাজধানীর একটি হোটেলে। তারপর ২৮ আগস্ট সকালে চলে যাবেন নীলফামারী। সেখানে ২৯ আগস্ট বাংলাদেশ প্রীতি ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে।
football
৪ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। এ টুর্নামেন্টে খেলতে একটু আগেই চলে এসেছে শ্রীলঙ্কা। দলটি রোববার রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছবে। সেখান থেকে সোমবার সকালেই নীলফামারী চলে যাবে। ম্যাচের পর দিন ৩০ আগস্ট সকালে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ফুটবলাররা ঢাকায় ফিরবেন।
এশিয়ান গেমসের ২০ সদস্যের দলে ছিলেন আশরাফুল ইসলাম রানা, আনিসুর রহমান, বিশ্বনাথ ঘোষ, ফজলে রাব্বি, জাফর ইকবাল, জামাল ভূঁইয়া, মাহবুবুর রহমান সুফিল, তপু বর্মন, মাহফুজ হাসান প্রীতম, মনজুরুর রহমান, মাসুক মিয়া জনি, মো. আবদুল্লাহ, সুশান্ত ত্রিপুরা, টুটুল হোসেন বাদশা, সা’দ উদ্দিন, রহমত মিয়া, মতিন মিয়া, রবিউল হাসান, বিপুল আহমেদ ও আতিকুর রহমান ফাহাদ।
এর বাইরে ৭ সিনিয়র ফুটবলার ওয়ালি ফয়সাল, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, ইমন বাবু, সোহেল রানা, মামুনুল ইসলাম, ফয়সাল মাহমুদ ও সাখাওয়াত রনিকে নিজেদের খরচে বাফুফে ইন্দোনেশিয়া পাঠিয়েছিল অনুশীলনের সুবিধার্থে। দেশে ফিরে এই ২৭ জন নিয়েই শুরু হবে ফুটবলারদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের প্রস্তুতি। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ হবে ঢাকা ও সিলেটে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে।