পাথরঘাটায় ইয়াবাসহ সাংসদ রিমনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ আটক- ২
বরগুনার-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নাহার টেলিকমের বিপণন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ তালুকদার ও বায়জিদ মুন্সি নামে দুই জনকে ১০পিস ইয়াবাসহ আটক করেছে পাথরঘাটা থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) রাতে পৌরসহরের লঞ্চঘাট সংলগ্ন বাজার থেকে ১০ পিচ ইয়াবাসহ তাদের আটক করা হয়।
আবদুল্লাহ তালুকদার উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের মৃত জাকির তালুকদারের ছেলে ও বরগুনা-২ আসনের সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নাহার টেলিকম এর বিপণন কর্মকর্তা এবং বায়জিদ মুন্সি পাথরঘাটা পৌর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাফায়েত মুন্সির ছেলে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাথরঘাটা লঞ্চঘাট সংলগ্ন বাজার থেকে গত মঙ্গলবার রাতে ১০পিস ইয়াবাসহ আবদুল্লাহ তালুকদার ও বায়জিদ মুন্সি নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। এসময় আবদুল্লাহ তালুকদারের দেহ তল্লাশি করে ৪পিচ ও বায়জিদ মুন্সির দেহ তল্লাশি করে ৬পিচ ইয়াবা পাওয়া যায়। আবদুল্লাহ তালুকদার গ্রামীন ফোনের বরগুনা জেলার এজেন্ট নাহার টেলিকম আমতলী কার্যালয়ে বিপণন কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করতেন।
নাহার টেলিকমের আমতলী কার্যালয়ের ডিষ্টিভিশন ম্যানেজার (ডিএম) সাইফুল ইসলাম বলেন, আবদুল্লাহ তালুকদারের কাছে প্রায় এক লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। ওই টাকা প্ররিশোধ করতে বলায় গত ১ আগষ্ট থেকে সে অফিসে আসছে না।
বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের সাথে আটককৃত আবদুল্লাহ তালুকদারের কোন সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সেবিষয়ে জানতে চেয়ে সাংসদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই ছেলের সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। ওর বাবা পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ছিলো তিনি মারা যাওয়ার পর পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়ায় আমি ওকে চাকরি দেই। কিন্তু সে আমার অফিসের ১ লাখ টাকা বকেয়া রেখে আত্মগোপন করে। পরে আমিই তাকে (আবদুল্লাহ তালুকদার) চাকরি থেকে বরখাস্ত করার জন্য বলি।
এ ব্যপারে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবির আহমেদ বলেন, আবদুল্লাহ তালুকদার ও বায়জিদ মুন্সিকে ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে বরগুনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।