আফ্রিদিকে নকল করে রাতারাতি নায়ক স্মিথ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নির্বাসিত সময়টা টি-টোয়েন্টি দিয়েই কাটাচ্ছেন স্টিভ স্মিথ। কানাডার পর এবার ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লিগ খেলতে গেছেন। তিন ম্যাচে ভালো রান পেয়েছেন। তবে আজ ব্যাটে-বলে জয়ের নায়ক হয়ে গেলেন। ৪৪ বলে ৬৩ আর ১৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে স্মিথ আলোচনা ছড়ালেন হুট করে ‘শহীদ আফ্রিদি’ হয়ে যাওয়ায়। বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসকে ২ রানের নাটকীয় জয়ও এনে দিয়েছেন জ্যামাইকা তালওয়াসের বিপক্ষে।
না, ব্যাটে-বলে দারুণ অলরাউন্ড নৈপুণ্য ছিল বলে নয়। স্মিথ আফ্রিদি হয়ে গেছেন আসলে বোলিং অ্যাকশনে। আফ্রিদির মতো তিনিও ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন লেগ স্পিনার হিসেবে, পরে ব্যাটসম্যান পরিচয়ের আড়ালে হারিয়ে গিয়েছিল বোলার পরিচয়টি। কাল স্মিথ আরও বোলিং অ্যাকশনেও একদম অনুকরণ করলেন আফ্রিদিকে। তাতেই জোড়া আঘাত!
৫ বলের মধ্যে দুই ওপেনারকে ফিরিয়েছেন। না হলে ভালো বিপদেই পড়ে যেত বার্বাডোজ। স্মিথের ৬৩ আর শাই হোপের ৪৩ রানের সৌজন্যে ৫ উইকেটে ১৫৬ রান তুলেছিল ট্রাইডেন্টরা। কিন্তু জ্যামাইকা অনায়াস ছুটছিল ১৫৭ রানের লক্ষ্যের দিকে। ওপেনিং জুটিতে ৯ ওভারেই তুলে ফেলেছিল ৮০ রান। কিছুতেই কাজ হচ্ছে না দেখে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে স্মিথকে আক্রমণে আনেন বার্বাডোজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। দশম ওভারের প্রথম বলে চার্লস (৩২ বলে ৪২) আর পঞ্চম বলে ফিলিপসকে (২৪ বলে ৩৬) ফেরান স্মিথ। উইকেট পেতে পারতেন আরও একটি। কিন্তু সীমানাপ্রান্তে ভেসে আসা বলটা লুফে নিতে পারেনি ফিল্ডার।
তবে শেষ পর্যন্ত নাটকীয় জয় পেয়েছে স্মিথের দল। শেষ ওভারে ৯ রান দরকার। শেষ চার বলে ৫ রান। এই সমীকরণও মেলাতে পারেনি জ্যামাইকা। অথচ হাতে ছিল ৭ উইকেট। আন্দ্রে রাসেল ব্যাট হাতে নামারই সুযোগ পাননি উইকেট পড়ছিল না বলে। আর এমন জয়ে বড় অবদান শেষ ওভারটি করে আসা বোলার রেইফারের। তবে ম্যাচসেরা হয়েছেন স্মিথই।
ওহ্, আসল কথাটাই তো বলা হয়নি। এই ম্যাচে স্মিথ আউটও হয়েছেন অদ্ভুতভাবে। শট খেলে ভারসাম্য হারিয়ে ব্যাট গিয়ে লেগেছে পেছনের স্টাম্পে! অদ্ভুতুড়ে হিট উইকেট! আউটের ধরনেও আফ্রিদিকে মনে করিয়ে দিলেন স্মিথ!