পূর্ণিমা’র এক যুগ পরে ফেরা
২০০৬ সাল। ঢাকাসহ গোটা বাংলাদেশেই কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে ‘ভালো বাসবো, বাসবো রে বন্ধু…’ হাবিব ওয়াহিদের এই গান তখন ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে গেছে। তখনও ছবি মুক্তি পায়নি। অনেকেই হয়তো জানেনও না আসলে এটি চলচ্চিত্রের গান কি না। কেননা তখন হাবিব বিভিন্ন কনসার্টে এই গান গেয়ে বেড়াচ্ছেন। কনসার্টজুড়ে দর্শকেরা রিদমের সাথে সাথে মাথা নাড়াচ্ছেন, শরীর দোলাচ্ছেন। সমাজের সব শ্রেণীর কাছে এই গান সমান গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে গেল।
এরপরে চলে এল সেই কাঙ্ক্ষিত সময়। ছবি মুক্তি পায়। নাম ‘হৃদয়ের কথা।’ সেই গানের সাথে মিশে গেলেন ছবির নায়ক রিয়াজ ও পূর্ণিমা। দৃশ্যায়নের সাথে এতো সামঞ্জস্যপূর্ণ জুটি হয়তো দর্শকেরাও কল্পনা করেননি। জুয়েল মাহমুদের লেখা সেই গানের সাথে সাথে সেই ছবি তুমুল হিট হয়ে গেল।
ছবির গল্পে, বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী অনিক চৌধুরী। যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিয়াজ। যখন সুর সাধনায় মত্ত, তার ধ্যানে, তার জ্ঞানে, সে যখন গান গায় ও ভায়োলিনের সুরে নিজেকে মগ্ন করে রেখেছে, ঠিক সেই মুহূর্তে তার জীবনে আসে একটি সুন্দর নাম ‘অধরা।’ এই চরিত্রে পূর্ণিমা। যেমনটি আসে প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে ব্যতিক্রম হয়ে। ক্রমান্বয়ে ঘটনা দুজনকে ভালোবাসার স্বর্গের স্বপ্ন দেখায়, তখনই প্রকাশ পায় অনিকের ভালোবাসা একটি মিথ্যের জালে জড়িয়ে যায়।
এস এ হক অলিক পরিচালিত এই ছবির ইতোমধ্যে কেটে গেছে ১২ বছর বা এক যুগ। এই যুগ পর এসেও পূর্ণিমা সেই দৃশ্য ভোলেননি কিংবা সেই সময়টাকে। গতকাল রাতে পূর্ণিমা নিজের ফেসবুকে গানটিকে নেপথ্যে রেখে একটি ভিডিও আপলোড দিয়েছেন। স্পষ্টতই স্মৃতিকাতরতা পূর্ণিমার ওপর কিছুটা হলেও ভর করেছে। এক যুগ, এক স্বর্ণসময়। হয়তো মনের কোনে এসব স্মৃতি থেকেই যায়।
আর ক্যাপশনেও লিখেছেন, ‘আ’ম ব্যাক।’ অর্থাৎ এক যুগ পড়ে সেই গান নিয়েই ফিরলেন। এরমধ্যে কতটা পরিবর্তন হয়েছে পূর্ণিমার?’ দর্শক ও ভক্তরাই ভালো বলতে পারবেন।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১ আগস্ট