পাথরঘাটায় ভাগ্নের বিরুদ্ধে মামাকে হত্যা চেষ্ঠার অভিযোগ

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০২:২০ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০১৮

আহত সাইফুল ইসলামপাথরঘাটা উপজেলায় সাইফুল ইসলামকে (২৮) কুপিয়ে হত্যা চেস্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মাহবুব হোসেন, ইউনুচ আকন ও তার ছেলে মো. আলমাচ নামের এক ভাগ্নের বিরুদ্ধে। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছেন।

সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের গাববাড়ীয়া গ্রামে এঘটনা ঘটে।

সাইফুল ইসলাম চরদুয়ানী ইউনিয়নের গাববাড়ীয়া গ্রামের মো. ওয়াদুদ ফরাজীর ছেলে।

সাইফুল ইসলামে বাবা ওয়াদুদ ফরাজী পাথরঘাটা নিউজকে জানান, আমাদের সাথে পাশ্ববর্তী মাহবুব হোসেন এর সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর সূত্র ধরে নাতিকে ফুসলিয়ে আমার ছেলেকে হত্যার পরিকল্পনা করে মাহবুব হোসেন। পরে সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে গাববাড়ীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আমার ছেলে সাইফুল ইসলামকে প্রতিবেশী মাহবুব হোসেন, ইউনুচ আকন এর সহযোগীতায় আলমাচ পিছন থেকে এসে এলোপাথারী কোপালে আমার ছেলে ডাক-চিৎকার দেয়। এসময় স্থানীয়রা ছুটে আসলে মাহবুব হোসেন, ইউনুচ আকন ও তার ছেলে আলমাচ পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা সাইফুলকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়।

পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক উপল সেন গুপ্ত পাপাথরঘাটা নিউজকে জানান, আহত সাইফুল ইসলামের আবস্থা গুরুতর, তবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত আলমাচ এর বাবা ইউনুচ আকন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, এর আগে আমাকেও তারা লাঞ্চিত করেছে। এর জের ধরে আমার ছেলে সাইফুলকে রাতে কুপিয়েছে।

পাথরঘাটা থানা ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবীর আহমেদ পাথরঘাটা নিউজকে জানান, এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোন অভিযোগ করেনি। এখনই পুলিশ পাঠিয়ে দিচ্ছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া কবে।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১৪ আগস্ট

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)