তরুনী ধর্ষণ ও হত্যা মামলাপাথরঘাটায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা তদন্তে বছর পার
বরগুনার পাথরঘাটায় অজ্ঞাতপরিচয় তরুণী ধর্ষণ ও হত্যা মামলার এক বছর পরেও বিচার শুরু হয়নি। নিহত তরুণীর পরিচয় নিশ্চিত করা প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ঘটনায় অভিযুক্ত চার ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে বন্দি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১০ আগস্ট পাথরঘাটা কলেজ এলাকার একটি পুকুর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করা হয়। পুলিশের ধারণা, লাশ উদ্ধারের ১০-১২ দিন আগে ওই তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এ ঘটনার প্রায় তিন মাস পর পাথরঘাটা কলেজের নৈশপ্রহরী জাহাঙ্গীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে উপজেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক মোহাম্মদ মাহমুদ ও পাথরঘাটা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের জবানবন্দিতে ওই তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার নানা তথ্য বেরিয়ে আসে। এরই সূত্র ধরে পাথরঘাটা কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রুহি আনান ডেনিয়েল ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ছোট্টকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযুক্ত চার ছাত্রলীগ নেতাকে জেলা কমিটির সুপারিশে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি দল থেকে বহিষ্কার করে। এরপর মামলা জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) স্থানান্তর করা হয়।
বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক বশির আলম বলেন, ‘মামলা তদন্তাধীন। অভিযুক্তদের জবানবন্দি অনুসারে ওই তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এখন আমরা নিহত তরুণীর পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি। সারা দেশের থানায় এসংক্রান্ত বার্তা পাঠানো হয়েছে।’
এ ব্যাপারে বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক বলেন, ‘মামলার অনেক কিছুুই আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এখন নিহত তরুণীর পরিচয় উদ্ধার করা গেলেই আদালতে চার্জশিট জমা দিয়ে আসামিদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’(সূত্রঃ কালের কন্ঠ)
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১১ আগস্ট