বানারীপাড়ায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে পাঁচ মাসে দু’বার বিয়ে!
বরিশালের বানারীপাড়ায় হালিমা খাতুন ফাজিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে পাঁচ মাসের মধ্যে দু’বার বাল্য বিবাহ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ওই ছাত্রীর বাবা শ্রমিক বাদল মিয়া উদয়কাঠী ইউনিয়নের পশ্চিম লবনসাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সে তার স্ত্রীর পরামর্শে গত ৫ মাস পূর্বে বাল্য বিবাহ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাদের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের করপাড়া গ্রামের বাদশা সিকদারের ছেলে ইমরান হোসেনের সাথে বিবাহ দেয়। পরে ওই বিয়ের খবর স্থানীয় ভাবে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা দৌলতুন্নেছা নাজমাকে জানানো হয়। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা দৌলতুন্নেছা এ ঘটনা জেনে মামলা দায়ের করার উদ্যোগ নেয়। এ সময় খবর পেয়ে বাদল মিয়া সেখানে গিয়ে তার মেয়েকে ওই ছেলের সাথে বাল্য বিবাহ দিবে না বলে জানায়। ফলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ওই বিষয়ে মামলা না করে চুপসে যায়।
এদিকে, বাদল মিয়া তার মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি না পাঠিয়ে কয়েক দিনের মধেই ওই মেয়েকে দিয়ে জামাতার বাড়িতে খোলা তালাকনামা পাঠায়। এ ঘটনার ৫ মাসের মধ্যেই বাদল মিয়া তার মেয়েকে পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার মাগুরা গ্রামের মোঃ হিরণ নামের এক ছেলের সাথে পুনরায় বাল্য বিবাহ দেয়।
এনিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ হুমাযুন কবির জানান, বাদলের নাবালক মেয়েকে প্রথম বিবাহ দেয়ার সময় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা তাকে একাধিক বার বারণ করলেও তারা সে বিষয়ে কর্ণপাত না করে গোপনে তাদের মেয়েকে বিবাহ দেয়। পরে সেখান থেকে স্বর্নালঙ্কার সহ বিভিন্ন মালামাল হাতিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ করে পুনরায় মেয়েটিকে বিয়ে দেয়।
অপরদিকে ইমরান ও তার পরিবার দাবী করেন, বাদল মিয়া তার মেয়েকে দিয়ে হঠাৎ করে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটালেও বিবাহের সময় তাদের পক্ষ থেকে দেয়া স্বর্ণলংকার সহ অন্যান্য মালামাল এখনও ফেরত দেয়নি। এসব বিষয়ে ইউপি সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ বাদলের বাড়িতে জানতে গেলে তারা আগে থেকেই খবর পেয়ে ঘরে তালা ঝুলিয়ে সটকে পড়ে।
এ ঘটনা সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, আগে থেকে এ বিষয়টি জানতে না পারায় বাল্য বিবাহটি বন্ধ করা যায়নি।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৯ আগস্ট