মঠবাড়িয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষক খুনের দায় স্বীকার করে আসামীর জবানবন্দি
মঠবাড়িয়ার আলোচিত মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা ফরিদ উদ্দিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যতম পলাতক আসামি মিজানুর রহমান (৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের এক বছর সাত মাস পর গত শুক্রবার চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের সহায়তায় দুর্গম পাহাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) মঠবাড়িয়া চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তাকে সোপর্দ করা হলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে হত্যার দায় স্বীকার করে গ্রেপ্তারকৃত মিজানুর। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট মো.বিল্লাল হোসেন আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃত মিজানুর রহমান উপজেলার বেতমোড় গ্রামের সিদ্দিক মাতুব্বরের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৯ জানুয়ারি রাতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘবদ্ধ প্রতিপক্ষরা বেতমোড় দারুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা ফরিদ উদ্দিনকে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে মুমূর্ষ অবস্থায় ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসারর জন্য আহত মাদ্রাসা শিক্ষককে ঢাকার ধানমন্ডি জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার দুই দিন পর মারা যান তিনি।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত মাদ্রাসা শিক্ষকের ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম ৯ জনকে আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ হত্যাকাণ্ডের এক বছর সাত মাস পর প্রযুক্তি ব্যবহার করে সীতাকুন্ডের দুর্গম পাহাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোহাম্মদ মাজাহারুল আমিন (বিপিএম) জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে আরও তথ্য দিয়েছেন। এর আগে এ মামলায় আরও তিন আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তারা উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছে। পলাতক অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৭ আগস্ট