দাম্পত্য জীবন কেমন কাটছে ওমর সানী মৌসুমীর!
১৯৯৫ সালের ২ আগস্ট ভালোবেসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন চলচ্চিত্রের অন্যতম সফল জুটি এবং সুখী তারকা দম্পতি ওমর সানী মৌসুমী। দেখতে দেখতে আজ তারা বিবাহিত সুখী জীবনের দুই যুগে পদার্পণ করছেন। ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রায়হান মুজিব পরিচালিত ‘আত্ন অহংকার’ সিনেমায় ভালোবেসে গানে গানে ওমর সানী মৌসুমীর উদ্দেশ্যে বলেছিলেন ‘আমার একদিকে পৃথিবী একদিকে ভালোবাসা, আমি তোমার কাছে আসবো, আর তোমাকেই ভালোবাসবো’।
গানের এই কথারই প্রমাণ দিয়েছিলেন ওমর সানী মৌসুমীকে ভালোবেসে বিয়ে করে আজ থেকে ২৩ বছর আগে। সুখে দুঃখে ভালোবেসে দু’জন দু’জনার হয়ে দেখতে দেখতে দাম্পত্য জীবনের ২৩টি বছর পার করেছেন তারা দু’জন। ২৩ বছর পেরিয়ে আজ তারা ২৪ বছরে পা রাখছেন। ওমর সানী মৌসুমীর সুখের সংসার আলোকিত করে দু’সন্তানও এসেছে। একজন পুত্র ফারদিন ও অন্যজন কন্যা ফাইজা। ফারদিন রাজধানীর উত্তরায় ‘মেরিমন্টানা’ নামের একটি রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করছেন বেশ দায়িত্ব নিয়ে। রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় নিজেদের পুত্রের সাফল্যে বেশ আনন্দিত ওমর সানী মৌসুমী। পাশাপাশি ফারদিন একজন নির্মাতা হিসেবেও কাজ করেন।
নিজের জীবনে মৌসুমীর ভূমিকা এবং মৌসুমী প্রসঙ্গে ওমর সানী বলেন,‘ মৌসুমী আমার জীবনের আলো, আমার সুখে দুঃখে পথচলার সঙ্গী, এক কথায় মৌসুমীই আমার জীবনের সব। আমার জীবনে নানান সময়ে নানান বিষয় নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্ধ থাকলেও মৌসুমী তার জীবনে সবসময়ই সব ব্যাপারে বেশ ভালোভাবে সুদূর প্রসারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা আমাকে অবাক করেছে, মুগ্ধ করেছে। সে একজন নায়িকা হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে, মা হিসেবে, সমাজ সেবক হিসেবে একজন সফল মানুষ। আমি বলবো এদেশে শাবানা ম্যাডামের পর মৌসুমী একজন সর্বোপরি সফল নায়িকা। আল্লাহ যেন তাকে সবসময় ভালো রাখেন , সুস্থ রাখেন এবং আমরা যেন সারাটি জীবন আমাদের দুই সন্তান, পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সুখে দুঃখে বাকীটা জীবন পার করে দিতে পারি এই দোয়াই করি।’
মৌসুমী বলেন,‘ আমার জীবনে সানীর ভূমিকা কী এটা যদি অল্প কথায় বলতে হয় তাহলে খুব অবিচার করা হয়ে যায়। তারপরও যদি বলি বলতে হয় আমার সুন্দর এই জীবনের জন্য কৃতজ্ঞ আল্লাহর কাছে, আমার বাবা মায়ের কাছে, তারপরই সানীর কাছে। বিশেষ করে আমার বাবার মৃত্যুর পর সানী আমাদের পুরো পরিবারে যে ভূমিকা রেখে আসছে তার কোন তুলনাই হয়না। সংসার জীবনে ঝগড়া হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তারপর যে মধুর সময় আসে তা যেন জীবনের অন্যতম অংশ। আজকের বিশেষ এই দিনেই নয় আমৃত্যু যেন আমরা দু’জন দু’জনার হয়ে থাকতে পারি এই দোয়া চাই। আর আমাদের জন্য সবসময় যারা পাশে থেকেছেন ছায়ার মতো তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা।’
উল্লেখ্য এবারের ঈদে মৌসুমীকে দেখা যাবে শ্রাবণ চক্রবর্তী দিপুর নির্দেশনায় ‘কাঁদে মন কাঁদে ভালোবাসা’ টেলিছবিতে। এরমধ্যে ওমর সানী মৌসুমী কলকাতা থেকে ‘নোলক’ চলচ্চিত্রের কাজ শেষ করে ঢাকায় ফিরেছেন।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৬ আগস্ট