আমতলীতে টাকা না দেয়ায় স্ত্রীর গাল কাটলেন স্বামী!

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৯:৩৯ এএম, ৩০ জুলাই ২০১৮

আহত ছকিনা বেগমটাকা না দেয়ায় কুপিয়ে তিন সন্তানের জননী ছকিনা বেগমের গাল ও কান কেটে দিলেন স্বামী হাবিব খান। অসহায় এ নারী আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

অর্থাভাবে সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না তার। খেয়ে না খেয়ে হাসপাতালের বেডে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।

ঘটনা ঘটেছে বরগুনার আমতলী উপজেলার মহিষডাঙ্গা গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর গ্রামের হানিফ হাওলাদারের মেয়ে ছকিনা বেগম। জন্মের দুবছরের মাথায় পিতা-মাতাকে হারিয়ে এতিম হয় ছকিনা। আলীপুরের রাখাইন সম্প্রাদায়ের মইয়্যা নামের এক পরিবারে বেড়ে উঠে।

২০০৩ সালে আমতলী উপজেলার মহিষডাঙ্গা গ্রামের হাবিব খানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ছকিনা দিন মজুরের কাজ করে স্বামীর সংসার পরিচালনা করে আসছে। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে।

এদিকে স্বামী হাবিব খান ২০০৬ সালে কক্সবাজারে দ্বিতীয় বিয়ে করে। দ্বিতীয় স্ত্রী খাদিজা বেগমকে নিয়ে স্বামী হাবিব খান দিন যাপন করে। প্রথম স্ত্রী ছকিনাকে ভরণপোষন দেয় না। প্রায়ই স্বামী হাবিব খান ছকিনার কাছে টাকা দাবি করে আসছে।

মঙ্গলবার রাতে হাবিব খান ছকিনার কাছে টাকা দাবি করে। ছকিনা তাকে টাকা দিতে অস্বীকার করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাবিব খান ছকিনাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে ছকিনার বাম গাল ও কান কেটে যায়।

ছকিনার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে পুলিশ হাবিব খানকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

রোববার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, ছকিনা হাসপাতালে ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। অর্থাভাবে তার সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না। গত পাঁচ দিন ধরে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার গৌরাঙ্গ হাজড়া বলেন, ছকিনার মুখের বাম অংশ থেকে শুরু করে কান পর্যন্ত কেটে গেছে।

আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, খবর পেয়ে স্বামী হাবিব খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৩০ জুলাই

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)