বঙ্গোপসাগর থেকে ৪ জেলের লাশ উদ্ধার
বঙ্গোপসাগর থেকে ৪ জনের মরহেদ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর পৃথক স্থান থেকে ৩জনকে উদ্ধার করা হয়। অপর একজনকে পাথরঘাটা থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর থেকে উদ্ধার করা হয়।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে পাথরঘাটা নিউজকে জানান, শনিবার (২১ জুলাই) গভীর সমুদ্রে প্রচন্ড ঝড়ের কবলে পড়ে মাছ ধরা ট্রলারসহ অনেক জেলে ডুবে যায়। সোমবার (২৩ জুলাই) ট্রলার মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ডুবে যাওয়া জেলেদের অনুসন্ধানের জন্য মো. মতিয়ার রহমান, মো. হারুন ও মো. বাদশা মিয়াসহ ৩টি ট্রলার সাগরে পাঠানো হয়। ৫দিন পর শনিবার সন্ধার দিকে এফবি শাহজালাল ট্রলারের জেলে পাথরঘাটা উপজেলার বাদুরতলা গ্রামের তোতা মিয়া, এফবি ভাই ভাই ট্রলারের বরগুনার গুলিশাখালী গ্রামের মো. লিটন ও স¦পনকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে পৃথক তিন জায়গায় মরদেহ ভাসতে দেখে কাছে গিয়ে ৩টি মরদেহ বিকৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে উদ্ধারকৃত মরদেহগুলি বিকৃত হওয়ায় সুন্দরবন সংলগ্ন মান্দারবাড়িয়া, আলোরকোল ও দুবলার চর এলাকায় উদ্ধারকাজে অন্তত ৪০জন তাদের জানাজা শেষে দাফন দেয়। তাদের ধারণা,উদ্ধারকৃত লাশগুলো ডুবে যাওয়া ট্রলারের জেলেরা হবে। তবে লাশ বিকৃত থাকায় নাম পরিচয় বলতে পারেনি তারা। জীবিত উদ্ধার তোতা মিয়া, লিটন ও স¦পনকে গতকাল সন্ধ্যায় পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে গত বুধবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে পাথরঘাটা থেকে ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এফবি মা-বাবার দোয়া নামের একটি ট্রলার ঝড়ের কবলে ডুবে যায়। কিছুক্ষণ পর পার্শবর্তী এফবি এলাহি ভরসা ট্রলারের জেলেরা ১১জনকে উদ্ধার করলেও মো.শহিদ মিয়া নামের এক জেলে নিখোঁজ হয়। নিখোজের ৪ দিন পর পাথরঘাটা থেে ৪০ কিলোমিটর দক্ষিক বঙ্গোপসাগরে রোববার (২৯জুলাই) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করে। এ সময ওই ট্রলারের মধ্যে জেলে শহিদুলের লাশ পাওয়া যায়।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৯ জুলাই