শোকের দিনে ক্ষোভ প্রকাশপাথরঘাটায় নৌকার পাগলদের সুযোগ নিয়ে জামাত-বিএনপিকে সুযোগ দিচেছ রিমন (ভিডিও সহ)
‘রাজাকারের ছেলে হয়েও আওয়ামীলীগের মনোনয়ন এনে বিজয়ী হয়ে নৌকা পাগলদের সুযোগ নিয়ে জামাত-বিএনপিকে সকল রকমের সুযোগ-সুবিধা দিচেছন এমপি রিমন।’ এমনটাই অভিযোগ করেন পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন।
২৬ জুলাই সন্ধ্যার আগে বরগুনা-২ আসনের প্রয়াত সাংসদ গোলাম সবুর টুলুর পঞ্চম মৃত্যূ বার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় কার্যালয় কুরআনখানি ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সোহরাব, সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সামছুল আলম শিকদার, প্রয়াত এমপি টুলুর ভাই গোলাম অহিদ টিপু, উপজেলা আ.লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া পিয়ারসহ আ.লীগ, ছাত্রলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
দোয়া অনুষ্ঠানে প্রয়াত এমপি টুলুর উন্নয়নের অবদানের কথা উল্লেখ করে আলমগীর বলেন, স্বাধীনতা ৩৫ বছর পর আমরা দলীয এমপি পেয়েছি। হঠাৎ সডক দুর্ঘটনায় টুলু সাহেব মৃত্যূ বরণ করেন। এমপি শওকত হাচানুর রহমান রিমনকে উদ্দেশ্য করে আলমগীর হোসেন বলেন, ২০০৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের টুলু সাহেবকে এমপি হিসেবে উপহার দিয়েছেন। টুলু সাহেবের মৃত্যূর কারণে উপনির্বাচনে কিভাবে রিমনকে এমপি বানিয়েছি তা আপনাদের ভালো জানা আছে। কিন্তু আমরা রিমনকে এমপি বানিয়ে কি পেয়েছি, আমরা বেচে থেকেও মরার মতো বাস করছি। আমরা নৌকার পাগল, নৌকা দেখলে পাগল হয়ে যাই। জননেত্রী শেখ হাসিনার দয়া নিয়ে এমপি হয়ে আজকে জামাত-বিএনপি নিয়ে কান খাউজায় (চুলকায়) আ.লীগকে যারা ধংস করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত, শেখ হাসিনাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে তাদের নিয়ে পলিটিক্স করে তাদেরকে ধিক্কার জানাই।
সভায় আরও বলেন, আওয়ামীলীগ কথা বলতে পারেনা, ৮/১০ জন আ.লীগ কথা বলবে, আর একজন জামাত একজন বিএনপি গিয়ে কথা বলবে সেটি কারেক্ট। ১৯৭১ সালে তার বাবার (রিমনের) কার্যক্রম আমি দেখেছি। তারা বাবায় চেয়েছে, বাংলাদেশের পতাকা না থাকুক,আওয়ামীলীগ না থাকুক, তার ছেলে কেন চাবে? আমি বলবো সে যোগ্য বাবার যোগ্য ছেলে। এটা তার দোষ না, এটা তার রক্তের দোষ।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৮ জুলাই