ভাণ্ডারিয়ায় বিদ্যালয়ের বাথরুম থেকে অচেতন অবস্থায় ছাত্রী উদ্ধার
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার থানা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টয়লেট থেকে মঙ্গলবার সকালে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
থানা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান জানান, ষষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী সকালে প্রাইভেট পড়তে এসে একাডেমিক ভবনের দোতালার টয়লেটে যায়। আগে থেকেই টয়লেটে লুকিয়ে থাকা অজ্ঞাত এক দূর্বৃত্ত ওই ছাত্রীর হাত পা ও মুখ বেঁধে ফেলে এ সময় অন্যান্য ছাত্রীরা টয়লেটে প্রবেশ করতে গিয়ে দরজা বন্ধ দেখতে পায় এবং কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পরে বিষয়টি শিক্ষকদের জানালে টয়লেট থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্মরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পরে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে রেফার করে। ভাণ্ডারিয়া থানা পুলিশের একটি দল তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি মো. লিয়াকত হোসেন তালুকদার জানান, এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক নূরুন্নাহার বেগমকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইন চার্জ মো. শাহাবুদ্দিন জানান পুলিশের একটি চৌকস দল এ ঘটনা তদন্ত করতে মাঠে রয়েছে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৪ জুলাই