গভীর সমুদ্রে ট্রলার ডুবিতিনদিনেও ৭ ট্রলারসহ ৯২ জেলের সন্ধান মেলেনি
বৈরী আবহাওয়ার কারণে গভীর সমুদ্রে ঝড়ের কবলে পড়ে শনিবার (২১ জুলাই) গভীর সমুদ্রে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৯৮ জেলে উদ্ধার হলেও এখনো ৭ ট্রলারসহ ৯২ জেলের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিনদিনেও গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে না আসায় স্বজনদের মধ্যে চলছে আহাজারি। ট্রলার ডুবে যাওয়ায় জেলেদের সাথে এখন পর্যন্ত যোগাযোগ না হওয়ায় সলিল সমাধী হতে পারে বলে ধারণা করছেন।
তবে ডুবে যাওয়া ট্রলার ও নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের জন্য সুন্দরবন সংলগ্ন সমুদ্রে বরগুনা জেলা মৎসাজীবী ট্রলার মালিক সমিতি, জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী পৃথক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছেন।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী সত্যতা নিশ্চিত করে পাথরঘাটা নিউজকে জানান, গত ২১ জুলাই শনিবার সকালের দিকে গভীর সমুদ্রের নারিকেলবাড়িয়া ও ফেয়ারওয়ে বয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচন্ড ঝড়ের কবলে পড়ে মাছ ধরা ট্রলার ডুবে যায়। একদিন পর রোববার (২২ জুলাই) এফবি রেবা ট্রলারের ১৯, অর্ক ট্রলারের ১৯, তারেক-১ ট্রলারের ১৬, জুয়েলের ১৪, ভাই ভাই ট্রলারের ১০, শাহজালাল-১১ ও আলআবদুল¬াহর ১৯ জেলে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। একইদিন ডুবে যাওয়া এফবি শাহজালাল, এফবি মায়ের দোয়া, এফবি জুয়েল, এফবি ভাই ভাই, এফবি তারেক, এফবি মরিয়ম ও এফবি মোহাম্মদ হোসেনের অন্তত ৯২ জন জেলের এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ডুবে যাওয়া ট্রলার ও নিখোজ জেলেদের সন্ধানের জন্য বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি, জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী পৃথক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছেন।
বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল মাষ্টার পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, নিখোজ জেলেদের অনেকের আত্মীয় স¦জন আমাদের কাছে মোবাইল ফোনে খোজ খবর নিচ্ছেন আবার অনেকেই আমাদের কাছে এসে কান্নাকাটি করছেন।
কোস্টগার্ডের পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লে. মাহমুদ পাথরঘাটা নিউজকে জানান, নিখোজ জেলেদের সন্ধানের জন্য আমাদের অতিরিক্ত ফোর্স কাজ করছে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৩ জুলাই