ভাণ্ডারিয়ায় শিশু সায়েমের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন
পানিতে ডুবে মৃত্যু নাকি হত্যাকরা হয়েছে তা সনাক্তের জন্য দাফনের ২ মাস ৯ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তোলা হলো পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার সাড়ে ৫ বছরের শিশু সায়েমের মরদেহ। দুপুরে নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রিট শাহিন আক্তার সুমির উপস্থিতিতে পুলিশ ব্রাঞ্চ অব তদন্ত বরিশাল এর কর্মকর্তা মোঃ জাফর এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার অপরাধ দমন সংস্থার খুলনা ও বরিশাল বিভাগীয় চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল্লাহ আল আমিন সহ পুশিস প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ মে ভান্ডারিয়া উপজেলার গাজীপুর গ্রামের সাহেব আলীর ও তার স্ত্রী হোসনে আরা বাড়িতে ছিলেন না। সাহেব আলীর শিশু কন্য নাসরিন আক্তার ও শিশু ছেলে সায়েম বাড়িতে ছিলেন। সকাল ১০ টার দিকে প্রতিবেশী এক শিশুর সঙ্গে সায়েম খেলা করতে ঘর থেকে বের হয়। এরপর সে নিখোঁজ হয়। দুপুরে হোসনে আরা বাড়িতে ফিরে ছেলেকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করেন। দুপুর দেড়টার দিকে আইউব আলীর নাতি মো. সুমন শিশু সায়েমের লাশ বাড়িতে নিয়ে এসে বলেন, তাকে মৃত অবস্থায় খালে পাওয়া গেছে।
সায়েমের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হলে গত ২০ জুন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার অপরাধ দমন সংস্থায় সহযোগিতায় শিশুটির মা হোসনে আরা পিরোজপুর বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আইউব আলী ও তার ছেলে আমির হোসেনসহ ছয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। আদালত পিবিআই বরিশালকে তদন্তের নির্দেশ দেন এবং সায়েমের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আদেশ দেন।
ভাণ্ডারিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহাবুদ্দিন জানান, শিশুটির মরদেহ কবর থেকে উত্তলোন করে মৃত্যুর কারণ সনাক্ত করতে পিবিআই নিয়ে গেছে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২২ জুলাই