রোববার শুরু ১০ টাকা দরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রি

ঢাকা প্রতিনিধিঃ আবারও ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে এ কর্মসূচি চালু হয়। কর্মসূচির আওতায় অতিদরিদ্র ৫০ লাখ পরিবারকে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হবে। সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় এই চাল দেয়া হচ্ছে।
পাশাপাশি রোববার থেকে ওএমএস (খোলাবাজারে বিক্রি) কর্মসূচির মাধ্যমে চাল বিতরণ চলবে। খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মন্ত্রী বলেন, বছরের প্রথম প্রান্তিকে মার্চ এপ্রিল এই দুই মাস খাদ্য বিতরণ চলবে। আর চাল বিতরণ কার্যক্রমে কোনো ধরনের অসদুপায় বা দুর্নীতির অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হবে।
জানা গেছে- ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামে ‘খাদ্যবান্ধব’ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কর্মসূচির আওতায় প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল এই পাঁচ মাস ১০ টাকা কেজিতে চাল পান দরিদ্ররা। কিন্তু গত বছর কর্মসূচি কিছু দিনের জন্য বন্ধ ছিল।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হওয়ায় গত বছরের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। সেই অবস্থার উত্তরণ হয়েছে। অন্যদিকে কর্মসূচি শুরুর পর বিত্তবানদের নামে ১০ টাকা চালের কার্ড বিতরণের অভিযোগের পাশাপাশি নানা অনিয়মে বেশ কয়েকজনের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কর্মসূচিতে অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারিও দিয়েছিলেন।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে বছরে সাড়ে সাত হাজার টন চাল লাগবে। বর্তমানে সরকারি গুদামে ১৪ লাখ ২০ হাজার টন খাদ্যশস্য মজুত আছে। এর মধ্যে ১০ লাখ ৪০ হাজার টন চাল এবং তিন লাখ ৮০ টন গম। চলতি আমন মৌসুমে ছয় লাখ টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। ইতিমধ্যে পাঁচ লাখ ৪০ হাজার টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকিটাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংগ্রহ করা হবে।
আর ২০১৭ সালে হাওর অঞ্চলে হঠাৎ বন্যার কারণে খাদ্য নিয়ে সমস্যায় পড়ে সরকার। এ সময়ে মোট ১২ লাখ টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু সংগ্রহ হয়েছে মাত্র আড়াই লাখ টন। ফলে সরকারের গুদামে খাদ্যশস্যের মজুত এক লাখ ৩০ হাজার টনে নেমে আসে। চালের একটি চরম সংকট দেখা দিয়েছিল। এরপর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় চালের দাম, যা এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
এ এম বি / পাথরঘাট নিউজ