ঝালকাঠিতে ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে কীর্তন অনুষ্ঠানের চাল উদ্ধার
ঝলকাঠি হরিসভায় কীর্তন অনুষ্ঠানে খাবারের জন্য জেলা প্রশাসনের বরাদ্দ দেয়া দুই মেট্রিক টন চাল এক ব্যবসায়ীর চালের গুদাম থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় চাল বিক্রেতা গোপাল হরিসভার ধর্মীয় অনুষ্ঠানের চাল তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রাখার জন্য ভুল স্বীকার করেন।
রবিবার (০১ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে গোপন সংবাদে পুলিশ মনোহারি পট্টির চালব্যবসায়ী হরি আনন্দ দেবনাথ গোপালের ঝালকাঠি খাদ্য ভান্ডার গুদাম থেকে এ চাল উদ্ধার করে।
প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বস্তায় এ চাল জেলা খাদ্য গুদাম থেকে এনে এখানে তোলা হয়েছে বলে জানা গেছে। পরে ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম মাহমুদ ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি জানতে পেরে হরিসভায় এ চাল পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
ঝালকাঠির গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে- মনোহারি পট্টির এক চাল ব্যবসায়ীর গুদামে প্রধানমন্ত্রী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চাল উঠানো হয়েছে। চালের পরিমাণ দুই টন। এ সংবাদের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ওই ব্যবসায়ীর গুদামে এসে উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা দেখতে পান। এসময় তারা জানতে চায় এ চাল কিভাবে এখানে এলো। তখন ব্যবসায়ী হরি আনন্দ দেবনাথ গোপাল জানান, জেলা প্রশাসক দুই টন জিআর চাল বরাদ্দ করেছেন হরিসভার ধর্মীয় অনুষ্ঠানে খাবারের জন্য। তাই হরিসভা কমিটির সভাপতি এ চাল তার দোকানে রেখে গেছেন।
এসময় উপস্থিত ঝালকাঠির নেজারত ডেপুটি কালেকটর (এনডিসি) বশির গাজী জানতে চান ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ পাওয়া চাল এখানে কেন রাখা হবে।
তখন চাল ব্যবসায়ী জানান, তিনি হরিসভা কমিটির সদস্য। তাই সভাপতি এখানে রেখেছেন
এ সময় খবর পেয়ে সেখানে ভারপ্রাপ্ত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হোসোইন উপস্থিত হয়ে জানান, এ চাল ভিজিডি খাতসহ অন্য খাতে বিতরণ করা যাবে। তবে হরিসভার ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ এ চাল কিভাবে এই ব্যবসায়ীর গুদামে এলো তা আমার জানার কথা নয়।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২ জুলাই