বরিশালে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি
বরিশালের হিজলা উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে কুলসুম বেগম নামে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামী ইউসুফ সিকদারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (২৬ জুন) দুপুরে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এই রায় দেন। এদিকে এই মামলায় অন্য পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকলুস খালাস দেওয়া হয়েছে।
ইউসুফ সিকদার উপজেলার ইন্দুরিয়া গ্রামের হারুন সিকদারের ছেলে।
বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফয়েজ উদ্দিন ফয়েজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের একই উপজেলার মেমনিয়া গ্রামের ফারুক ফকিরের মেয়ের সাথে ইউসুব সিকদারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ফারুক তার স্ত্রী কুলসুম বেগমের কাছে যৌতুক দাবি করে নির্যাতন চালাতো। নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে কুলসুমের বাবা নগদ ২ লাখ টাকা ও তিনটি গরু যৌতুক হিসেবে ইউসুব সিকদারকে দেওয়া হয়। এতে সে সন্তুষ্ঠু না হয়ে পুনরায় শ্বশুর বাড়িতে যৌতুকের দাবি করে কুলসুমের ওপরে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে তার বাবাকে যৌতুকের টাকা পরিশোধের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এ ঘটনার আগের দিন ২০১৬ সালের ১১ফেব্রুয়ারী মেয়ে ও জামাইকে বাড়িতে আনতে কুলসুমের বাবা ইউসুবদের বাড়িতে যায়। এ সময়ে ইউসুব যৌতুকের টাকা না দিলে কুলসুম আর শ্বশুর বাড়িতে যাবে না বলে জানিয়ে দেয়।
ওই দিনই মুঠোফোনে যৌতুকের টাকা না দিলে তার মেয়ে কুলসুমকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুতে রাখার হুমকি দেয় ইউসুব। এর পরদিন ১২ ফেব্রুয়ারী দুপুরে খবর আসে তার মেয়ে কুলসুম মারা গেছে। ওই দিন জামাই বাড়ি গিয়ে মেয়ের লাশ দেখে সন্দেহ হলে ফারুক ফকির ইউসুবসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৬ জুন