ভূল চিকিৎসাপাথরঘাটায় সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৬:৫৭ পিএম, ২৫ জুন ২০১৮

শাপলা ক্লিনিকপাথরঘাটায় ছুমাইয়া নামের এক প্রসুতি মায়ের ভুল চিকিৎসার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে মোহনা টিভির সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে স্থানীয় বেসরকারী শাপলা ক্লিনিকের মালিক নুরুল আলম কাজী। এসময় অন্য সাংবাদিকদের সাথেও অশালিন আচরণ করেন।

রোববার (২৪ জুন) সন্ধা ৭টার দিকে পাথরঘাটা পৌরশহরের হাসপাতাল রোডের শাপলা ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গত ২৯ মে শাপলা ক্লিনিকে বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের চলাভাংগা গ্রামের মো. সবুর হাওলাদারের স্ত্রী ছুমাইয়া নামের এক প্রসুতি মাকে শাপলা ক্লিনিকে ভুল সিজারিয়ানের কারনে সেলাইয়ের ক্ষত স্থলে ইনফেকশন হলে ১৪ জুন একই ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসলে দ্বিতীয়বার অপারেশন করেন। এ অপারেশনের পর ছুমাইয়ার আবার একই সমস্যা হলে ছুমাইয়ার স্বামী ওই ক্লিনিকের মালিক মকবুল হোসেনের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এসময় শাপলা ক্লিনিকের মালিক মকবুল হোসেন মিলন মেম্বর ও তার ভই মিরাজ এবং নুর আলম কাজীসহ ৪ থেকে ৫জন লোক সবুর হাওলাদারকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এখবর পেয়ে সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ওই ক্লিনিকের মালিক নুরুল আলম কাজী সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরণ করেন ও মোহনা টিভির সাংবাদিক করিম ইসলাম সুমনের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন।

ছুমাইয়ার স্বামী সবুর হাওলাদার পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, আমার স্ত্রীর একই রোগের কারনে বারবার অপারেশন ও সুস্থ্য না হওয়ার কারন জানতে চাইলে মালিক পক্ষ কথাবার্তার একপর্যায়ে আমাকে লোহার রট দিয়ে পিটিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার স্ত্রী এখন বরিশালের এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাপলা ক্লিনিকের মালিক মকবুল হোসেন মেম্বর ও নুরুল আলম কাজী পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, সামান্য সমস্যা থাকায় ছুমাইয়াকে দ্বিতীয়বার অস্ত্রপচার করা হয়েছে। তবে কোন ভুল চিকিৎসা করা হয়নি। আর সবুর হাওলাদার আমাদের বিরুদ্ধে অশ্লিল কথা বলছিল তবে তাকে কে মারধর করেছে তা আমাদের জানা নেই। সাংবাদিকদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা ও তাদের লাঞ্চিতের ঘটনা তিনি অস্বীকার করেন।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৫ জুন

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)