নিপা ভাইরাসের আশঙ্কা! বরগুনায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে এক কিশোরের মৃত্যু

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ১০:১৪ এএম, ২৫ জুন ২০১৮

মৃতে বনি আমিন সাগরবরগুনায় নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। রবিবার (২৪ জুন) বিকেল ৫টার দিকে উত্তরার ওই হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

মৃতের নাম বনি আমিন সাগর (১৭)।

সাগর বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্ন ইউনিয়নের গৌরীচন্না গ্রামের মো. আনসার উদ্দীন হাওলাদারের ছেলে এবং গৌরীচন্না ইঞ্জিনিয়ার সুলতানাহ সালেহ টি এন্ড বি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রত্যাশী। বনি আমিন সাগরের চাচাতো ভাই সাদেক আহমেদ সৈকত নোভার্টিজ বাংলাদেশ লিমিটেডের একজন ফার্মাসিস্ট। তিনি সাগরের শুশ্রুষার জন্য তার সঙ্গেই ছিলেন।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সাগরের মৃত্যুর কারণ হিসেবে জাপানীজ মেনেনজাইটিজ ধারণা করা হলেও মেডিক্যাল রিপোর্টে তা ধরা পড়েনি। পরে সাগরের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিপা ভাইরাস ধারণা করা হয়। যদিও চূড়ান্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকগণ এটাকে নিপা ভাইরাস বলতে চাচ্ছেন না।

নোভার্টিজ বাংলাদেশ লিমিটেডের ফার্মাসিস্ট সাদেক আহমেদ সৈকত আরও জানান, চিকিৎসকদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। সাগর হঠাৎ করে অসুস্থ হয়েছে। তীব্র জ্বরের সঙ্গে তার মাথা ব্যথা ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ চারদিন তাকে কোমায় রাখা হয়। শুক্রবার দুপুর ১টায় তার মস্তিষ্ক পুরোপুরি ড্যামেজড হয়ে যায়। রবিবার সকাল থেকেই তার শরীরের ৫০ শতাংশ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। সোয়া চারটার সময় তার হৃদযন্ত্রেও কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিকেল ৪টা ৪৬ মিনিটের সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাগরের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের ৮-১০ দিন আগ থেকে প্রায়ই সাগর মাথা ব্যাথায় আক্রান্ত হতো। এর পর ঈদের তৃতীয় দিন সোমবার হঠাৎ তীব্র জ্বরে আক্রান্ত হয় সাগর। এ সময় তাকে বাড়িতে জ্বরের চিকিৎসা দেয়া হয়। ঈদের পঞ্চম দিন গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তীব্র জ্বরের সঙ্গে দাঁত খিচুনি হয় সাগরের। এ সময় স্বজনরা সাগরকে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।

বরিশাল শেরই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার পর তার অবস্থার কোনো উন্নতি না হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক প্রফেসর ডা. হায়দার আলী জানান, সাগরের সকল প্রকার মেডিক্যাল আলামত পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। (কালের কন্ঠ)

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৫ জুন

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)