মেসিকে জ্বলে উঠতে হবে : রোনাল্ডোর
অনলাইন ডেস্কঃ
বড় দল হিসেবে যতটা প্রত্যাশা ছিল, প্রথম ম্যাচে তেমনটা খেলতে পারেনি আর্জেন্টিনা।
বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে আসা আইসল্যান্ডের সঙ্গে ড্র আর্জেন্টাইন সমর্থকরা একেবারেই মেনে নিতে পারেননি। মেসির পেনাল্টি মিসও দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে তাদের কাছে। প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনার রক্ষণ ও গোলকিপিংও হতাশ করেছে সবাইকে।
দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে আজ ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে জিততেই হবে মেসিদের।
জ্বলে উঠতে হবে আর্জেন্টাইন জাদুকরকে। এছাড়া কোনো উপায় নেই। কারণ ক্রোয়েশিয়াও ভালো ফুটবল খেলে। দলের মিডফিল্ডার ও অধিনায়ক লুকা মডরিচ তো দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। মাঝমাঠের খেলোয়াড় হয়েও নাইজেরিয়ার বিপক্ষে গোল করেছেন।
দ্রুতগতির ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে জিততে হলে মেসিকে খেলতে হবে পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতো। তাহলে যদি বাঁচা-মরার লড়াইয়ে জেতে আর্জেন্টিনা।
পেরুর বিপক্ষে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকেই আমি এগিয়ে রাখছি।
একঝাঁক তরুণ তুর্কির পাশাপাশি পল পগবা, গ্রিজমান ও হার্নান্দেজের মতো বেশ ক’জন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রয়েছেন দলটিতে। নিজেদের দিনে তারা কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠতে পারেন, তা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দেখা গেছে।
তবে লাতিন দেশ পেরুও বিশ্বকাপে খেলেছে আগে। অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাদের। তাই খুব সহজে পার পাবে না ফ্রান্স। জিতলে হলে ঘাম ঝরাতে হবে ফরাসিদের। আমার মনে হয় ম্যাচটি ফিফটি ফিফটি হবে। জয়-পরাজয়ের ব্যবধান ১-০ কিংবা ২-১ হতে পারে।
এদিকে ডেনমার্কের মিডফিল্ড অসাধারণ খেলছে। পেরুর বিপক্ষে ম্যাচে মাঝমাঠের কেভিস্ট ও ডেলানির অসাধারণ নৈপুণ্যেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে তারা। অস্ট্রেলিয়াও নিজেদের সামর্থ্যরে পরীক্ষা দিতে এসেছে বিশ্বকাপে। তাই তাদের হালকাভাবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
টোটাল ফুটবল খেলে থাকে সকারুরা। তাই ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলেই আমি আশা করি।
অন্যদিকে মঙ্গলবারের প্রথম ম্যাচে সেনেগালকে সহজভাবে নেয়াতেই হেরে গেছে পোল্যান্ড। পোল্যান্ড আগের বিশ্বকাপগুলোতে কোয়ার্টার বা সেমিফাইনাল পর্যন্তও খেলেছে। তবে সেনেগালের বিপক্ষে এক গোল হজম করার পর আর খেলা ধরে রাখতে পারেনি তারা।
এরপর কাউন্টার অ্যাটাকে আরেকটি গোল হজম করে তারা। গুছিয়ে খেলার প্রয়োজন ছিল তাদের। এক গোল হজমের পর খেলায় ফেরার চেষ্টা করেও পারেনি তারা। যদিও শেষ মুহূর্তে একটি গোল তারা শোধ করেছিল।
কলম্বিয়ার বিপক্ষে অসাধারণ খেলেছে জাপান। অলআউট খেলেই জয় তুলে নিয়েছে এশিয়ার ব্লুজরা। কখনও এক সঙ্গে উপরে উঠেছে সবাই, আবার নিচেও নেমেছে। খুবই ভালো ফুটবল খেলেছে জাপান। টোটাল ফুটবল উপহার দিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা।
কিন্তু হতাশ করেছে কলম্বিয়া। লাতিন আমেরিকার দেশটি ভালদেরামার সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে ছিল। কিন্তু সম্প্রতি তাদের সেই খেলা আর দেখা যায় না। জাপানকে তারা সহজভাবে নিয়েছিল। এক সময় অগোছালো হয়ে পড়ে। রক্ষণভাগও ভালো খেলেনি।
সব দলেই একজন ভালোমানের ফুটবলার থাকেন। তেমনি মিসরের মোহামেদ সালাহ। উরুগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারেননি ইনজুরির কারণে।
স্বাগতিক রাশিয়ার বিপক্ষে নামলেও পুরোপুরি ফিট ছিলেন না তিনি। যার ফলে ভালো খেলাও দেখাতে পারেননি।
আর স্বাগতিক হওয়ার সুবিধা পুরোপুরি আদায় করে নিয়ে সবার আগে দ্বিতীয় রাউন্ড প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে রাশিয়া।
পাথরঘাটা নিউজ/এজেআর/ ২১ জুন