লগুচাপে সাগর উত্তাল পাথরঘাটা উপকূলের ঈদ আনন্দ ম্লান হওয়ার আশঙ্কা!
জৈষ্ঠ্য বিদায়ের শেষ প্রান্তে কড়া নাড়ছে এখন। ভ্যাপসা গরম অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। তীব্র গরমে রমজানে রোজাদারদের কষ্টের শেষ নেই। হঠাৎ বৃষ্টির দেখা দেওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে আসলেও ঈদকে সামনে রেখে উপকূলের মানুষ অনেক স্বপ্ন নিয়ে সাগরে মাছ শিকারের জন্য যাত্রা করলেও রৈবী আবহাওয়া, ভারী বর্ষণ ও সাগর উত্তাল থাকায় ঈদ আনন্দ ম্লান হওয়ার আশঙ্কা করছেন রয়েছে। সাগরে মাছের সাথে এখানকার বাসিন্দাদের একেবারে মিল থাকার কারণে এবার ঈদে তেমন আনন্দের প্রভাব পড়বে না এসব মানুষের মাঝে।
জ্যৈষ্ঠের মধ্য সময় থেকেই ইলিশের মৌসুম শুরু হয়। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে উপকূলীয় উপজেলা পাথরঘাটার উপকূলবর্তী এলাকার অসংখ্য জেলেরা অনেক স্বপ্ন বুকে বেঁধে সাগরে যাত্রা করেছেন ইলিশ শিকারে। পবিত্র ঈদে পরিবার-পরিজন এবং সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে নতুন কাপড় কিনে দেওয়ার জন্য অর্থের জোগান দিতে জীবন বাজি রেখে সাগরে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু তীব্র গরমের পর বৃষ্টি শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরে আসলেও সাগরে মাছ শিকাররত জেলে ও জেলেদের স্বজনদের মাঝে ইতোমধ্যেই ঈদ আনন্দ ম্লানের ছাপ পড়েছে।
ট্রলার মালিক এবং আড়ৎদারদের মতে এখন ইলিশের মৌসুম, তারা অনেক আশা নিয়েই জেলেদের সাগরে পাঠিয়েছেন ইলিশ শিকারে। এখন তাদের মুখেও হতাশার ছাপ পড়েছে।
মৎস্য আড়তদার, ট্রলার মালিক, পাইকার ও একাধিক বাসিন্দাদের মতে, সাগরে মাছের সাথে এখানকার বাসিন্দাদের একেবারে মিল থাকার কারণে এবার ঈদে তেমন আনন্দের প্রভাব পড়বে না। উপকূলবর্তী উপজেলা পাথরঘাটার শতকরা ৯০ ভাগই অর্থনৈতিক জোগান আসে মৎস্য ক্ষেত্র থেকে। এ কারণে এখন পর্যন্ত জেলেদের জালে মাছ না পড়ায় ঈদ বাজারেও তেমন কোন প্রভাব পড়ছে না। সকাল থেকে দুপুর হয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত বাজারে ব্যবসায়ীরা দোকান খোলা রাখলেও ক্রেতা শূন্য দেখা যায় ঈদ বাজারের মার্কেট গুলো।
ট্রলার মালিক আবদুল্লাহ হাওলাদার ট্রলার ও জাকির মাঝি বলেন, ৪দিন আগে ট্রলার সাগরে পাঠিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আসেনি। দুএকদিনের মধ্যেই কূলে আসলে মাছের ওপর নির্ভর করে ঈদের বাজার সদয়।
কালমেঘা গ্রামের আ. মালেকের স্বজনরা জানান, সাগর থেকে এসে ঈদের কাপড় কিনবে বলে সাগরে মাছ ধরতে যায়।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, জৈষ্ঠ্যের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয় ইলিশের মৌসুম। কিন্তু এবার ঈদকে সামনে রেখে ১০ থেকে ১২দিন আগেই সাগরে পাঠানো হয়েছে ট্রলার। ইতোমধ্যে যে ট্রলার এসেছে তার মধ্যে দুএকটি ট্রলারে মোটামুটি মাছ পেলেও অধিকাংশ ট্রলার বাজার সদয়ের খরচই হবে না।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১২ জুন