বরগুনায় গ্রাম আদালত সক্রিয় করণে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিতব

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৩:০২ পিএম, ১১ জুন ২০১৮ | আপডেট: ০৪:২৯ পিএম, ১১ জুন ২০১৮

গ্রাম আদালত সক্রিয় করণে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিতফেরদৌস খান ইমন বরগুনা:
বরগুনা জজ কোর্ট এর সম্মেলন কেন্দ্রে বিচার বিভাগ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের সমন্বয়ে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণে এক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১০ জুন) বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আছাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বরগুনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোখলেছুর রহমান, বরগুনা পুলিশ সুপার বিজয় বসাক, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাহিদ হাসান, অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম ইসমাইল হোসেন, উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার মোহাম্মদ আনোয়ারুল নাসের,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসেন ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহাম্মেদ, ইউএনডিপির লিগ্যাল স্পেশালিস্ট শিরিন সুলতানা লিরা, সিনিয়র সহকারী জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার,বিভিন্ন সার্কেলের এসএসপিবৃন্দ, পিপি,জিপি,বিশেষ পিপি, আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক সহ বিভিন্ থানার ভ্রপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গন, বিচারকবৃন্দ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এবং ইউএনডিপি এর আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প এর সহযোগিতায় এ পরামর্শ সভায় বক্তব্যে পুলিশ সুপার বিজয় বসাক বলেন, গ্রাম আদালত এর আইন সঠিক ভাবে প্রয়োগ হলে গ্রামের জনগন অনেক বেশী উপকার পাবে। তিনি গ্রাম আদালত আইন বাস্তবায়নে সকল বিধিমালা অনুসরনের গুরুত্ব আরোপ করেন।

জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোখলেছুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদে প্রয়োজনীয় সংখক জনবল এবং প্রকল্পের আওতা বুদ্ধিকরে গ্রাম আদালত সক্রিয় করা জরুরী কেননা গ্রাম আদলতের মাধ্যমে দরিদ্র ও অসহায় ব্যাক্তির অতি দ্রুত ও সহজে ন্যায় বিচার পাওয়া সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আছাদুজ্জামান বলেন আমাদেও মানষিকতা পরিবর্তন করে গ্রামের মানুষদের বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে গ্রাম আদালত এর কার্যক্রম জোরদার করা প্রয়োজন। তিনি বিদ্যমান আইনকে সামনে রেখেই এর সঠিক বাস্তবায়ন এর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি সকল সীমাবদ্ধতার মধ্যেও একসাথে কাজকরার জন্য আহবান জানান।

সভায় বক্তাগন একমত পোষন করেন যে গ্রামে অনেক ছোটখাটো ঘটনা ঘটলেও সাধারণ মানুষ তার প্রতিকার চাইতে থানা বা জেলা আদালতে আসেন যাতে অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় হয়।

অন্যদিকে গ্রাম আদালতে কম খরচে ও দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি হয় এবং আবেদনকারী ক্ষতিপূরণ পায়। এর পাশাপাশি আবেদনকারী ও প্রতিবাদী দুজনই তাদের পছন্দমতো প্রতিনিধি মনোনয়নের সুযোগ পায় এরজন্য সকল বিভাগের সমন্বয়ের ও পরামর্শের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য গ্রাম আদালত সত্রিয়করার জন্য একমত পোষন করেন।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১১ জুন

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)