আমি এমনিতেই সুপারওম্যান: তিশা
কথা ছিল তিনি কাজ করবেন অরিন্দম শীল পরিচালিত ছবি ‘বালিঘর’-এ। কিন্তু তাতে আর কাজ করা হচ্ছে না নুসরাত ইমরোজ তিশার। ছবিতে কাজ করতে না পারার কারণ ও সামনের অন্য কাজগুলো নিয়ে গতকাল কথা হলো টিভি ও সিনেমায় একাধারে কাজ করে যাওয়া এ অভিনেত্রীর সঙ্গে।
ঈদের কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত নিশ্চয়ই?
হ্যাঁ, বেশ কয়েক বছর ঈদকে ধরে কাজ করছি। অন্য সময়ে সেভাবে নাটকে কাজ করা হয় না। তাই ঈদ এলে ব্যস্ততা বেড়ে যায়।
এবারের ঈদের জন্য কী ধরনের কাজ করলেন?
তিনটি ঈদ ধারাবাহিকে কাজ করেছি। আবু হায়াত মাহমুদ, সাগর জাহান ও মাসুদ সেজানের নাটক। আর একক নাটক তো বেশ কয়েকটিতে এবার অভিনয় করেছি। দর্শক সব ঘরানার নাটকেই আমাকে দেখতে পাবেন এই ঈদে। কমেডি, রোমান্টিক সবকিছুতেই।
আপনার ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে কবে থেকে? ছুটি কীভাবে কাটাবেন?
১৫ তারিখ পর্যন্ত শুটিং করে যাব। এরপর থেকে ছুটি। ঈদের দিনটা শ্বশুরবাড়ি-বাবার বাড়ি ঘুরতে ঘুরতেই কেটে যায়। পরিবারের জন্য ওই দিনটা। ঈদের পরদিন থেকে শুরু হয় বাড়িতে অতিথি আপ্যায়ন, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা।
ঈদের অনুষ্ঠানমালায় আপনার এমন কোনো কাজ আছে এবার, যা অতিথি আপ্যায়নের ফাঁকে সময় বের করে দেখতে চান?
সারা বছর অভিনয় নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থাকি যে পরিবার-বন্ধুদের সময় দেওয়াই হয় না। তাই ঈদের সময়টা শুধু তাদের সঙ্গেই কাটাতে চাই। তবে হ্যাঁ, ঈদের পর ইউটিউব কিংবা পুনঃপ্রচারের সময় দেখে নেওয়া হয় নিজের কাজ। এবারও তা-ই হবে।
ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন, ‘বালিঘর’ ছবিতে কাজ করছেন না। কেন?
পোস্টে যে কারণ লিখেছিলাম, সেটাই। ছবির শুটিং মার্চে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা কিছু কারণে পিছিয়ে যাওয়ায় সময় মেলাতে পারছি না। খুব ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বালিঘর-এ কাজ করা হচ্ছে না। তবে ছবির পুরো দলের জন্য আমার শুভকামনা থাকল। আশা করছি, খুব ভালো একটি সিনেমা হবে বালিঘর।
হাতে থাকা অন্য তিনটি ছবির কাজ শেষ?
হ্যাঁ। শনিবার বিকেল, ফাগুন হাওয়া ও হলুদবনি-তিনটি ছবিরই কাজ শেষ। শনিবার বিকেল-এর ডাবিং শেষ হয়েছে। ঈদের পর বাকি দুটি ছবির ডাবিং হবে।
শনিবার ছাপা হবে এই সাক্ষাৎকার। ‘শনিবার বিকেল’ নিয়ে পাঠকদের কোনো নতুন তথ্য দেবেন?
যত দূর জানি ছবির কাজ শেষ হয়েছে। ছবিটি মুক্তির জন্য প্রস্তুত, রেডি টু রিলিজ। তবে এটা কবে নাগাদ মুক্তি পাবে, কোথায় কোথায় মুক্তি পাবে-এসব বলতে পারবেন ছবির পরিচালক (মোস্তফা সরয়ার ফারুকী)। স্ত্রী বলে যে ছবির ব্যাপারে আমি বাড়তি কিছু জানব, সেই সুযোগ নেই।
দেশে ছবির ব্যবসায়িক সাফল্য নাকি বিদেশি উৎসবে পুরস্কার-কোনটিকে বেছে নেবেন?
বিদেশের মাটিতে দেশের ছবির জন্য পুরস্কার অর্জন বা স্বীকৃতি পাওয়া। কারণটাও বলতে চাই। বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে পারার যে অনুভূতি, সেটা অতুলনীয়। ছবি দেশের বাজারে ভালো ব্যবসা করবে এটা অবশ্যই চাই, তবে বিদেশের মাটিতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
সহশিল্পীর কোন অভ্যাস আপনাকে বিরক্ত করে?
আমার কখনো এমন কোনো অভিজ্ঞতা হয়নি। যাদের সঙ্গে কাজ করেছি, সব সহকর্মীই দারুণ কো-অপারেটিভ। কখনো কোথাও যদি কোনো অস্বস্তিতে পড়েছি, বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে দ্রুত সব সমাধান হয়েছে। তাই বিরক্তির প্রশ্নই ওঠেনি।
সুপারহিরো (অতিমানব) হলে কোন অতিমানবীয় ক্ষমতা চাইবেন আপনি?
হিরো কেন? আমি সুপারওম্যান হতে পারি না? (হাসি) আর তা ছাড়া আমার কোনো বিশেষ ক্ষমতার দরকার নেই। আমি এমনিতেই সুপারওম্যান। যেমন আছি সেভাবেই যথেষ্ট।
সুত্রঃ প্রথম আলো