তালতলীতে হাই কোর্টের আদেশ উপেক্ষা করে জমি দখল

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৩:৪৫ পিএম, ৯ জুন ২০১৮

হাই কোর্টের আদেশ উপেক্ষা করে জমি দখলগোলাম কিবরিয়া, তালতলী প্রতিনিধি
বাংলাদেশ সুর্প্রীম কোর্টের হাই কোর্ট ডিভিশনের দেয়া আদেশকে উপেক্ষা করে মসজিদ, মাদ্রাসা ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি জোর জবরে দখলে নেয়ার জন্য মাটি কেটে নিজ বাড়ীর চলাচলের রাস্তা নির্মান করছে।

অন্যদিকে সরল জমির মাটি কেটে গভীর করে তৈরী করছে মাছের ঘের। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমাদের প্রতিনিধি শনিবার সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখেন।

জানা গেছে, উপজেলার বড় আমখোলা গ্রামের ফজলুল হক নাজির গংরা ১৯৫৬ সালে স্থানীয় চক্রাফ্রু মগের কাছ থেকে ৬টি কবলা দলিলের মাধ্যমে ১৭ একর ৫২ শতাংশ জমি ক্রয় করে দখল নিয়ে বাড়ী ঘর তৈরী করে বসবাস করে আসছে। ক্রয় সূত্রে মালিকদের কাছ থেকে ৯৯নং খতিয়ানের বিভিন্ন দাগে শামসুল হক নাজির ক্রয়সুত্রে মালিক হয়ে নিজ বাড়ীর সামনের ১ একর ৩৩ শতাংশ জমি মসজিদ ও মাদ্রাসার নামে দান করে। রাখাইনদের তরফ থেকে অংথয়চিং মগ গং এর নেতৃত্বে প্রায় ৬০ বছর আগে বিক্রিত জমি দখলের চেষ্টা করলে ফজলুল হক নাজির গং বাদী হয়ে ২০০৮সালের ২০ নভেম্বর উপজেলা সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মোকাদ্দমা দায়ের করেন। ঐ দায়ের কৃত মোকাদ্দমায় বিজ্ঞ আদালত ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর বাদী ফজলুল হক নাজির গংদের পক্ষে রায়দেন। উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে অংথয়চিং গং বাদী গয়ে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাই কোর্ট ডিভিশনে চলতি বছরের ৫ মার্চ আপিল করেন। আপিল বিভাগ ২৫ এপ্রিল মামলাটি গ্রহন করে অন্ততঃ ১বছর পর্যন্ত উভয় পক্ষের দখলে থাকা জমি শান্তিপূর্নভাবে তাকেই ভোগদখল করার আদেশ দেন।

হাই কোর্টের এ আদেশকে উপেক্ষা করে অংথয়চিং গংদের পক্ষে আজীজ মুন্সির নেতৃত্বে শাহজাহান মুন্সি, বাচ্চু মোল্লা, মালেক মোল্লা ও আলতাফ মোল্লাসহ চক্রটি মাদ্রাসা, মসজিদ ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির মাটি কেটে তাদের নিজ বাড়ীর দরজা নির্মান করছে।

অন্যদিকে সরল জমি কেটে গভীর করে তৈরী করছে মাছ চাষের ঘের। জমি জোর জবরে দখলে নেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে চক্রটি। শান্তি শৃংখলা ভঙ্গের আশংকা ও বড় ধরনের সংঘাত এড়াতে মাটি কাটায় বাধাঁ দিচ্ছেনা অন্যপক্ষ।

মসজিদের ইমাম ও ইউপি সদস্য নুর উদ্দিন পাথরঘাটা নিউজকে জানান, মসজিদ, মাদ্রাসা ও ফজলুল হক নাজির গংদের জমি নিয়ে বার বার বৈঠক হয়েছে। সে জমিসহ শামসুল হক নাজিরের ক্রয়কৃত জমি নির্ভেজাল হওয়ায় মসজিদ ও মাদ্রাসার জমি নিষ্কন্ঠ। এ জমি কেহর ভোগদখল করার অধিকার নেই। এমনিভাবে জানালেন স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ শাহ আলম(ডাক্তার), মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ পান্না আকন ও ৮০ বছর বয়সী শাহজাহান মিয়াসহ আরও অনেকে।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৯ জুন

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)