গুলশানে রেস্তোরাঁর ফ্রিজে ‘কুকুরের খাবার’!
রাজধানীর গুলশানে ক্রেতাদের খাওয়া উচ্ছিষ্ট হাড় ও রান্না করা খাবার ফ্রিজে রাখার অপরাধে এবং থালা-বাসনে প্রচুর তেলাপোকা ময়লা থাকায় অভিজাত রেস্টুরেন্টে টপ-কাপি’কে ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া বাটন রোজ রেস্তোরাঁর স্টোর রুমে ইঁদুরের উৎপাতের কারণে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার (৬ জুন) দুপুরে ৪ ঘণ্টা ব্যাপী র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাব-১ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও বিএসটিআই যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান শেষে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম জানান, অভিযানে গুলশান-২ এভিনিউয়ের টপ-কাপিতে গিয়ে দেখা যায় তাদের রান্নাঘরের অবস্থা খুবই খারাপ। সেখানে নোংরা ও অপরিষ্কার পরিবেশে রান্না হচ্ছে বিভিন্ন খাবার। এছাড়া হাজার হাজার তেলাপোকাও চোখে পড়ে। তাদের প্রতিটি ফ্রিজে প্রচুর মৃত তেলাপোকাও দেখা যায়। কারও ধারণা ছিল না গুলশানের মত ভিআইপি এলাকার রেস্টেুরেন্টের পরিবেশ এমন হবে। খাবারের উচ্ছিষ্ট হাড়গুলো সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে ফ্রিজে। এছাড়া রান্না করা মাংস রাখা হয়েছে ফ্রিজে কাঁচা রক্তাক্ত মাংসের সাথে। যা আবারও রান্নার জন্য প্রস্তুত করা হতো।
তিনি বলেন, ‘পিংক সিটিতে অবস্থিত বাটন রোজ রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে দেখা যায় কিচেনের পরিবেশ কিছুটা নোংরা। সেখানকার স্টোর রুমে ইঁদুরের উৎপাত। এমনকি খাবার এবং পেস্টিসাইড একসাথে রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির কোনও একজন স্টাফ খাবারের শেলফে জুতা রেখেছিল; পাশেই রান্না করা খাবার রাখা ছিল।’
অভিযানের শেষে টপ-কাপি’র ম্যানেজার নজরুল জানান, ক্রেতাদের খাবারের পর যে হাড়গুলো সংরক্ষণ করা হয়েছিল সেগুলো মালিকের কুকুরকে খাওয়ানোর জন্য রাখা হয়েছিল।
কিন্তু মানুষের খাবারের পাশে কুকুরের খাবার এত নামিদামি রেস্টুরেন্টে কেন রাখা হলো- জানতে চাইলে এ ব্যাপারে র্যাবকে কিছু বলেননি ম্যানেজার নজরুল।