মঠবাড়িয়ায় সমাজ সেবা কর্মকর্তার ওপর হামলার বিচার দাবিতে মানববন্ধন
মঠবাড়িয়া উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. আখলাকুর রহমানের ওপর নিজ অফিস কক্ষে সন্ত্রাসী হামলার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।
সোমবার (৪ জুন) সকালে উপজেলা পরিষদের সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ সম্মুখ সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সরকারী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতাসহ এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সভপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর, আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক-উজ্জামান, আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আরিফ-উল-হক, আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল হক মনি, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুলহাস শাহীন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. সোহাগ হাওলাদার জানান, উপজেলা পরিষদের একজন সরকারী কর্মকর্তার দপ্তরে ঢুকে হত্যার উদ্দেশে এভাবে মারধর ও ভাঙচুরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার বিকেলে উপজেলা হাজী গুলশান আরা শিশু সদন ও এতিম খানায় ১০১ জন ভূয়া এতিমের নামে সরকারী অর্থের বিল দিতে অস্বীকৃতি জানালে এতিম খানার সভাপতি ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা মিলে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. আখলাকুর রহমানকে তার নিজ অফিস কক্ষে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় হামলাকারীরা তার অফিস কক্ষ ভাঙচুর চালায়। পরে এই হামলার ঘটনায় আহত সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আখলাকুর রহমান বাদী হয়ে এতিমখানার সভাপতি ও শিক্ষকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ওইদিন রাতেই মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দাউদখালী ইউনিয়নের বড়হারজী গ্রামের হাজী গুলশান আরা শিশু সদনের সভাপতি মো. আবদুল গফ্ফার (৬০) ও এতিম খানার শিক্ষক মাওলানা মোস্তফা মাহামুদ (৫০) কে ঘটনাস্থল হতে গ্রেপ্তার করে।
অভিযুক্ত দুইজনকে আজ সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৪ জুন