পাসপোর্ট অফিস থেকে চার রোহিঙ্গা নারী আটক
নরসিংদীতে বাংলাদেশি পাসপোর্ট করার সময় চার রোহিঙ্গা নারীকে হাতেনাতে আটক করেছে পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো- মিয়ানমার থেকে আসা হামিদুল্লার মেয়ে নূর বিবি (১৪), সলিমউল্লার মেয়ে আমেনা বেগম (২৩), মো. মামু সুলতানের মেয়ে রাশিদা আক্তার (১৬), মোহাম্মদের মেয়ে আনোয়ারা বেগম (১৭)।
তারা সবাই স্থানীয় দালালের মাধ্যমে কক্সবাজার কুতুপালং ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসেছে। পুলিশ জানায়, বুধবার বিকালে রোহিঙ্গা চার নারী পাসপোর্ট করার জন্য নরসিংদী পাসপোর্ট অফিসে আসেন। তারা নরসিংদী ঠিকানা দিয়ে পাসপোর্ট করছিল। এদের মধ্যে রাশিদা আক্তারের ফাইলের কাজ পুরোপুরি শেষ করেন পাসপোর্ট অফিসের কর্মতারা। বাকি তিনজনের পাসপোর্টের কাজ চলছিল।
খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালায়। ওই সময় হাতেনাতে চার নারীকে আটক করেন।
পুলিশ আরও জানায়, ধারণা করা হচ্ছে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তারদের সহযোগিতা নিয়ে রোহিঙ্গা নারীরা পাসপোর্ট করছিল।
পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত রোহিঙ্গা নারী নূর বিবি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশি কিছু দালাল আছে তাদের এক হাজার টাকা দিয়ে ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে এনে বাসে তুলে দেয়। সেখানে বাসের ড্রাইভারকে আরও এক হাজার টাকা দিয়ে দালালদের মাধ্যমে নরসিংদী পাঠায়। ভালোভাবে জীবনযাপন করতেই সেখান থেকে এখানে আসা।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, টাকা হলে রোহিঙ্গারাও পাসপোর্ট পায়। নরসিংদী পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহকারী সূজন হাওলাদার ও আরিফুল হক সুমনের সহযোগিতায় এসব কর্মকাণ্ড হচ্ছে। আর নেপথ্যে থেকে এসবের সহযোগিতা করছেন পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক। মূলত টাকার জন্যই তারা এসব কাজ করে থাকে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নরসিংদীর উপপরিচালক জেবুন্নেছা সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে চাননি।
সদর মডেল থানার উপপুলিশ পরিদর্শক তাপস কুমার রায়। বলেন, জেলা স্পেশাল ব্র্যাঞ্চ (ডিএসবি) নরসিংদী মডেল থানাকে ঘটনা অবগত করলে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে চার রোহিঙ্গা নারীকে আটক করা হয়। তাদের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। পরে তাদের ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হবে।