পাথরঘাটায় পৃথক জমি নিয়ে বিরোধ, পুলিশসহ ৪৭ জন আহত
পাথরঘাটায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ২দিনে ১৭ জন নারী ও পুলিশসহ ৪৭ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩৮ জনকে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে গরুতর আহত ২১ জনকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে (২৮ মে) ও মঙ্গলবার (২৯ মে) সকাল ৮ টার দিকে পাথরঘাটা পৌর শহরের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। মারামারি নিয়ান্ত্রন করতে গেলে পাথরঘাটা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) খাইরুল ইসলাম নামের এক পুলিশ সদস্য গুরুতর জখম হয়েছে।
আহতরা হলেন, ৯নং ওয়ার্ডের ফাতিমা বেগম, খাদিজা, রাহিমা, আনোয়ারা, মরিয়ম, সেলিম খান, ছোবাহান খান, বাদল, বারেক, হাবিব, রুস্তুম, সেন্টু খান, রাসেল। ৩নং ওয়ার্ডের মনজু, হানিফা, শাহিন, মোতালেব, পারুল, লিলি, জসিম, জলিল, তাসলিমা, আদম আলী, দুলাল, ফোরকান, আলামীন, মজিবর, মাজেদা, তাসলিমা, মাইনুল, জরিয়া, এমাদুল, আসমা ও সুমী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বারেক খান ও আলম খান তারা দুজনই চাচাতো ভাই। দীর্ঘ দিন ধরে এই দুই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার ভোরে বিরোধীয় জমিতে বারেক খান তার লোকজন নিয়ে জমি দখল করার চেষ্টা করে। এ সময় সংশ্লিষ্ঠ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লিটন খান, সেন্টু খান, আলম খানসহ ১৫ থেকে ২০ জনে দখলকারিদের ওপর হামলা চালায়। দুইপক্ষই মারামারিতে অংশ নিলে উভয় পক্ষের ১৩জন আহত হয়। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ান্ত্রনে আনার চেষ্টা করলে সেন্টুকে পুলিশ আটক করে। এসময় সেন্টু খান পুলিশকে মারধর করে পালিয়ে যায়।
অপর দিকে পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের আপন দুই ভাই আদম আলী ও মোতালেব এর মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বাবার পৈত্রিক সম্পতি নিয়ে বিরোধ চলে। পরে সোমবার দুপুরে বিরোধীয় সম্পত্তিতে মোতালেব ঘর তুলতে গেলে প্রতিপক্ষরা বাধা দেয় এবং হাতাহাতি হয়। কিছুপর উভয় পক্ষ সংগঠিত হয়ে মারা মারি শুরু করলে ৩৪ জন আহত হয়েছে।
এ ব্যপারে পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবির আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বেশী মাদবাড়ি করে আমাকে না জানিয়ে আমার থানার মেজ সাহেব এসআই ইদ্রিস ও খাইরুল ইসলাম ঘটনা স্থলে গিয়ে ইনজুরি হয়েছে। এটা আমার দায়ভার না সমস্যা হলে মেজ দারোগা বুজবেন। বিষয়টি আমি উর্দতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। তা ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মামলা না হওয়ায় এদেরকে এখনো গ্রেপ্তার দেখানো হয়নী। এসপি সারকেল বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের ঘটনাটি তদন্ত করছেন।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৩০ মে