কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগপাথরঘাটায় ১৩ জেলেকে পিটিয়ে আহত
পাথরঘাটা নিউজ ডেস্কঃ
মাছ ধরতে বঙ্গোপসাগরে যাওয়া সময় কোস্টগার্ডের সংকেত না মানায় ১৩ জেলেকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত জেলেরা আজ মঙ্গলবার (২৭ ফেরুয়ারি) বিকেলে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হযেছে। তাদের মধ্যে গুরুতর ৩ জেলে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে পাথরঘাটা থেকে ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এ ঘটনা ঘটে।
১০জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে বাকি ৩জনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় ভর্তি হয়েছে।
আহত জেলেরা হলেন, মো. হাশেম মাঝি (৩৩), ফিরোজ মিয়া (২৭), আ. রশিদ (২৩), মো. মুসা (১৮), রত্তন গাজী (৫৫) শাহ আলম খলিফা (৬০), ইউনছু মিয়া (৩৫), মো. মিরাজ (২৫) আবু ছালেহ (২০), মো. রাসেল (২০) মো. ছগির (৪০), মো.মনির মিস্ত্রী (৩৫) ও মো. বাচ্চু মিয়া (৪৫)। এর মধ্যে বাচ্চুর বাড়ি বাগেরহাট ও বাকিদের বাড়ি পাথরঘাটার বিভিন্ন এলাকায়। তাদের মধ্যে হাশেম মাঝি, ফিরোজ ও আ. রশিদের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাত রয়েছে।
এফবি মায়ের দোয়ার ট্রলারের গুরুতর আহত মাঝি মো. হাশেম বলেন, রাত দুটার দিকে সাগরের ছকিনা এলাকায় ট্রলার চালিয়ে যাওয়ার সময় অপর প্রান্ত থেকে লাল বাতি দিয়ে সংকেত দেয়। থামাতে দেড়ি হওয়ায় দ্রুত আমাদের ট্রলারে এসে কোস্টগার্ডের পোষাকধারীরা এসে এলোপাতারি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পিটানোর এক পর্যায় কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে জেলেদের পানিতে ঝাপিয়ে পড়তে নির্দেশ দেয়। পরে তারা সাতরিয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
কোস্টগার্ডের ছকিনা আউটপোষ্ট ক্যাম্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে মুঠোফোনে পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, সাগরে যাওয়ার পথে ট্রলারটি থামানোর জন্য সংকেত দিলে না থামালে দ্রুত তারা ট্রলার থেকে নেমে পালিয়ে যায়। কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি। সম্পুর্ণ মিথ্যা। ট্রলার ও জাল আমাদের হেফাজতে রয়েছে।
কোস্টগার্ডের ভোলা দক্ষিন জোন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. হামিদ পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, অনেকে মিথ্যা কথাও বলে থাকেন। তবে জেলেদের ছেরে দেওয়াটা অপরাধ। তদন্ত করে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৭ ফেব্রুয়ারি