স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ, মামলা করায় মেরে ফেলার হুমকি
পাবনার সাঁথিয়ায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে ধর্ষণের মামলায় ১৫ দিনেও আসামীদের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ধর্ষিতার পরিবার। প্রভাবশালী আসামীদের হুমকির মুখে বাদী শিক্ষার্থী ভয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ধুলাউড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী (১৫) কে গত ৯মে রাতে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে ছোট পাইকশাই গ্রামের ইয়াকুবের ছেলে বারেক (২৫)। ওই রাতে প্রকৃতির ডাকে বাইরে তিনি এলে পুর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা বারেক তার সহযোগীরদের সহায়তায় মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববতী ঘাসের জমিতে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনা প্রকাশ করলে ধর্ষিতার বড় বোনসহ পরিবারের অন্যদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায় ধর্ষক ও তার সহযোগীরা। ঘটনার পর দিন ১০ মে ওই ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে বারেকসহ তার সহযোগী আজিজুলের ছেলে মিজানুর, জব্বারের ছেলে হাসমত, জব্বারের ছেলে হাবিবুর রহমান ও নজরুলের ছেলে হযরত আলীকে আসামী করে সাঁথিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ৮। ওই দিনই তার ডাক্তারী পরিক্ষা শেষ করা হয়। মামলার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনও কোন আসামীকে আটক করতে পারেনি। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেড়াছে বলে অভিযোগ রয়েছে বাদী পক্ষের।
এদিকে প্রভাবশালী আসামী ও তাদের আত্মীয়রা বাদী ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে মর্মে ছাত্রীর বাবার অভিযোগ রয়েছে। তিনি আরও জানান, ঘটনার পর থেকেই লোক লজ্জার ভয়ে তার মেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
সাঁথিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আব্দুল মজিদ জানান, ধর্ষণ মামলার পর থেকেই আসামীদের আটক করার জন্য আমরা সাঁড়াশী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। আসামীরা বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপন করে থাকায় তাদের আটক করা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৪ মে