৩৬ বছরের যুবকের সঙ্গে ৯ বছরের শিশুর বিয়ে, অতঃপর…
ঝিনাইদহে ৩৬ বছরের যুবকের সঙ্গে ৯ বছরের এক কন্যা শিশুর বিয়ে দেয়া নিয়ে প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এই আজব বিয়ের ঘটনা ফাঁস হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বিয়ের সাথে জড়িতরা।ইতিমধ্যে বাল্য বিয়েতে সহায়তার দায়ে ঝিনাইদহ নোটারি পাবলিকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির ও অ্যাডভোকেট মীর আক্কাস আলীকে শোকজ করা হয়েছে।ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের দপ্তর থেকে এই শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ শহরের মোশারফ হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী মাসুরা খাতুনকে বিয়ে দেয়া হয়েছে কোরাপাড়া গ্রামে জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে। শিশু মাসুরা খাতুন নতুন কোর্টপাড়ার ওমর আলীর মেয়ে।
অন্যদিকে জাহাঙ্গীর হোসেন কোরাপাড়া গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে। সে পেশায় বাসের হেলপার। এদিকে ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবীরের হস্তক্ষেপে ২য় শ্রেণির ছাত্রী মাছুরাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেন।
মাছুরার মা শাপলা খাতুন জানান, তার মেয়ের জন্ম তারিখ ২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এতে তার বয়স হচ্ছে ৮ বছর। তিনি আরও জানান মেয়ে লেখা পড়ায় ভালো না। তাই বিয়ের কাবিন করে রেখেছিলাম। ১৬ বছর পূর্ণ হলে তখন জামাই বাড়ি উঠায়ে দেব।
পাগলাকানাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের দেয়া জন্ম নিবন্ধন সনদেও মাছুরার বয়স ৯ বছর। তবে মেয়ের পিতা ওমর আলীর হলফনামায় মেয়ের বয়স ৮ বছরের কথা বলা হয়েছে।
এদিকে মাছুরার পিতা ওমর আলী ৩ জন সাক্ষির উপস্থিতিতে এক হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, আইনসিদ্ধ না হওয়ায় তিনি এই বিয়ে বাতিল ও ছেলে পক্ষের সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, বিয়ে হওয়ার পর বাসের হেলপারি শেষে নতুন বর জাহাঙ্গীর প্রতি রাতেই শ্বশুর বাড়ি এসে রাত যাপন করতো। এতে প্রতিবেশিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
এ ব্যাপারে মোশারফ হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, তাদের ছাত্রী মাছুরার বিয়ে হয়ে গেছে বলে আমরাও জানতে পেরেছি। তবে এটা অন্যায় কাজ হয়েছে।