প্রসুতি হত্যা মামলাবামনায় জেলা পরিষদ সদস্যের মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন
বামনায় মাতৃসদন ক্লিনিকে প্রসুতি হত্যা মামলার আসামী বামনা উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরগুনা জেলা পরিষদ সদস্য এ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সদস্য ফয়সাল সরদার এর নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে বামনা উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন গুলো।
বৃহস্পতিবার (২৪ মে) সকাল ১০টায় বামনা সদর রোডে প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলা এ মানববন্ধনে শহরের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে প্রায় এক সহ¯্রাধীক নেতাকর্মী অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বামনা উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন জমাদ্দার, বামনা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. চৌধূরী কামরুজ্জামান সগির, বামনা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম সারওয়ার, বামনা উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আল-আমীন হোসেন জনী।
সভায় বক্তারা বলেন, ক্লিনিকে যদি অন্যায় করে থাকে তাহলে চিকিৎসকরা করেছে। ক্লিনিকের পরিচালকে প্রহসনমূলক মামলায় আসামী করা হয়েছে। আমরা বামনা আওয়ামীলীগ পরিবাবর হুশিয়ারী দিতে চাই যাতে অবিলম্বে জেল হাজতে থাকা পরিচালকদের মুক্তি দিতে হবে। যদি তাদের মুক্তি দেওয়া না হয় তাহলে আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, গতবছর ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে ভূয়া চিকিৎসক দিয়ে অস্ত্রপাচার করায় মোসা. মাকসুদা (৩০) নামে এক প্রসুতি গৃহবধু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ক্লিনিকে কর্মরত ভূয়া চিকিৎসক ও ক্লিনিকের মালিকদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঝড় উঠে। পরের দিন ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে বামনা মাতৃসদন ক্লিনিকের চিকিৎসক, নার্স ও পরিচালকসহ ৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে নিহত প্রসূতির স্বামী মো. মহারাজ পঞ্চায়েত।
মামলায় আসামীরা হলেন, ভূয়া চিকিৎসক মো.নুর নবী(৪৫), ডা.শহীদ(৪৬), ক্লিনিক ম্যানেজার আজাদ মাহমুদ আকাশ(৩৮), সেবিকা সালমা বেগম(২৬), সেবিকা মোসা. নূরুন্নাহা(২৫), ক্লিনিক পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা(৪০), কল্পনা আক্তার(৫৫) ও ফয়সাল সরদার(৪৫)।
এই মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত গত ১০ মে বামনা উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরগুনা জেলা পরিষদ সদস্য এ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা ও ফয়সাল সরদার জেল হাজতে পাঠায়।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৪ মে