পাথরঘাটায় ইজ্জতের মূল্য ৩০ হাজার টাকা নির্ধারন করলেন জনপ্রতিনিধি
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পাথরঘাটায় চৌধুরী মাসুম টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীকে ইজ্জতের ঘটনা ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য সালিসে ইজ্জতের মূল্য ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে পাথরঘাটার এক জনপ্রতিনিধি। এ সময় নির্ধারিত টাকার বিনিময়ে অভিযুক্ত পুলিশ কনেস্টবল রুবেলকে ছেড়ে দেয়া অভিযোগ উঠেছে ওই জনপ্রতিনিধি ও তার স্বামীর রেজাউল কবির মিরাজের বিরুদ্ধে।
মধ্যরাতে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীন ওই কর্মচারীকে এ কথা বলেন। টাকা না নিলে ওই নারীকে পাথরঘাটা ছাড়া হুমকিও দেয়া হয়।
ওই নারী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাথরঘাটা থানায় কর্মরত পুলিশ কনেস্টবল মো. রুবেল হোসেন এর সাথে পাথরঘাটা চৌধুরী মাসুম টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী নারীর সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে রুবেল তার প্রেমিকার সাথে কথা বলার জন্য বাড়িতে যায়।
এ সময় বিয়ের প্রলোভনে ওই নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে। রাত ১০টার দিকে স্থানীয় লোকজন ওই নারীর গহরপুরে গ্রামের বসত ঘরের বিছানা থেকে রুবেলকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীনের কাছে হস্তান্তর করে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীন ও তার স্বামী মিরাজ ওই রাতে সালিশ বৈঠকে ওই নারীর অসম্মতিতে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে পুলিশ কনেস্টবল মো. রুবেলকে ছেড়ে দেয়া হয়। ওই নারী আরো বলেন, এ টাকা না নিলে তাকে পাথরঘাটা ছাড়ারও হুমকি দেন জনপ্রতিনিধি ও তার স্বামী।
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীন বলেন, এ মেয়েটির দুটি সন্তান আছে আগের সংসারের, কিন্তু পুলিশ কনষ্টেবল ছেলেটি অবিবাহিত থাকায় তাদের সঙ্গে বিবাহ দিতে পারিনি।
অভিযুক্ত পুলিশ কনেস্টবল রুবেলকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. খবীর আহমেদ বলেন, এ পুলিশ কনেষ্টবল বরগুনা পুলিশ লাইন থেকে গহপুর ক্যাম্পের হওয়ায় আমি ব্যবস্থা নিতে পারছি না।