আমি কিন্তু খেলতে খেলতে এতদূর এসেছি
আমি কিন্তু খেলতে খেলতে এতদূর এসেছি। অনেক ধরনের খেলোয়াড় দেখেছি। দিন শেষে কাজটাই থাকবে। চলচ্চিত্র না বাঁচলে এই ময়দানও থাকবে না। খেলাও হবে না। শিল্পী সমিতিতে তো কম সময় নয়। একদম কর্মী থেকে সর্বোচ্চ পদে। বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে।
ফলে এক দুই দিন না এলে সব কিছু তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়বে তাও কিন্তু ঠিক নয়। বিভেদ বজায় রেখে চলচ্চিত্রের সমৃদ্ধি তো দূরের কথা চলচ্চিত্র টিকবে কি না তা সন্দেহ। প্রযোজক না বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবেনা।’ এফডিসিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বিশিষ্ট খল অভিনেতা ও চলচ্চিত্র শিল্পীসমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর।
মিশা আরও বলেন, ‘এখন কাকরাইলে গেলে আর আওয়াজ পাওয়া যায়না। প্রযোজকরা যদি না উদ্বুদ্ধ হয় চলচ্চিত্র হবেনা। দিনকে দিন সিনেমা নির্মাণ কমছে। সিনেমা নেই তো শিল্পী বা পরিচালক নেই কিন্তু।
চলচ্চিত্র বাঁচাতে আমাদের সবার কথা শুনতে হবে। সবার মত নিতে হবে। আমার মত কারো পছন্দ নাও হতে পারে কিংবা তার মত আমার পছন্দ হবেনা। কিন্তু আলোচনায় সব সমাধান হয়। ব্যক্তিস্বার্থ যদি আমার কিংবা তার বা যে কারো প্রাধান্য পায় বলে পরিলক্ষিত হয় তবে মনে করবেন আমি, সে বা আমরা চলচ্চিত্রের ভালো চাইনা। আজ আমার ছেলে আমেরিকায় পড়ে, আমার বা আমার স্ত্রীর গাড়ি আছে। সবই কিন্তু সেই প্রযোজকদের বিনিয়োগ।
সুতরাং সেই প্রযোজকদের আস্থা ফেরানো, তাদেরকে ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়ে আসা আমাদের সবার দায়িত্ব। এটি আমি চলচ্চিত্রের শিল্পী সমিতির সভাপতি হয়ে নয় দীর্ঘ চলচ্চিত্র ইতিহাসের একটি পর্বের একজন নগন্য কৃতজ্ঞ কর্মী হিসেবে বলছি।
মিশা সওদাগর বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে বর্তমানে প্রায় একচ্ছত্র খল চরিত্রের অভিনেতা এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি। তিনি বলেন, এখনো আমার হাতে ১৬ টি সিনেমা রয়েছে। তাই কাজটার দিকেও মনোযোগ দিতে হয়। শুধু বসে থাকলে কিন্তু উন্নতি হবেনা। অনেকে কাজ করছেনা। সেই কাজের ব্যবস্থাও করতে হবে। কিন্তু সব দায়িত্ব শিল্পী সমিতির নয়। এটা মূলত প্রযোজক এবং পরিচালকের বিষয়। আমরা যতটুকু করার করছি। যৌথ প্রযোজনার যে অনিয়মের বিষয়গুলো ছিল সেগুলো অনেকটাই বন্ধ এখন। নিয়ম মেনে বিদেশী শিল্পী আসলে তো কোন সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, সমিতি ওয়েবসাইট চালু হল। এখন ওয়েবসাইট পূর্ণ হতে বা চালু রাখতে নিয়মিত কন্টেন্ট প্রয়োজন। সেজন্য দরকার নিয়মিত সিনেমা। আর তা হলেই শিল্পীরা কর্মব্যস্ত থাকবে। রাষ্ট্রের কাছ থেকে আমাদের আদায় করে নিতে হবে। রাষ্ট্র কিন্তু দেওয়ার মানসিকতায় আছে।
বিশেষ করে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর যে মানসিকতা তার কাছ থেকে আমাদের আদায় করতে হবে। বিভেদ ভুলে চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির কার্যক্রমকে পুনরুজ্জীবীত করতে হবে।’ তিনি জানান, সিনেমা হলে সরকারী ব্যবস্থাপনায় ২-কে পর্দা সরবরাহে ৫০ কোটি টাকা ইতিমধ্যে বরাদ্দ হয়েছে। ঠিকমত সব এগুলো আরো অর্থ বরাদ্দ হবে।