ভ্যানিটি ব্যাগে কনডম পেয়ে স্ত্রীকে হত্যা করলো স্বামী
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গৃহবধূ রুমানা আক্তারকে (২৪) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তার স্বামী রাজু আহমেদ। পরকীয়া সন্দেহে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। এনিয়ে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন রাজু।
বুধবার বিকালে কোর্ট পুলিশের এসআই হানিফ মিয়া জানান, মঙ্গলবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালত রাজু আহমেদের দেয়া জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। এরপর আদালত রাজু আহমেদকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, হত্যার আগের দিন রুমানা আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ তল্লাশি করে জন্মনিরোধক (কনডম) দেখতে পান রাজু।
এনিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন স্বামী-স্ত্রী। এক পর্যায়ে রুমানা তার বাবার বাড়ি চলে যান। পরদিন রাতে ফের স্বামীর বাড়িতে আসলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আবারো তর্ক হয়। একপর্যায়ে রুমানাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন রাজু।
এরপর আশপাশের লোকজন ছুটে এসে রুমানাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, পরকীয়া সন্দেহে রাজু তার স্ত্রী রুমানাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছেন বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় আরো তদন্ত চলছে।
গত সোমবার সকালে ফতুল্লার পশ্চিম দেলপাড়া এলাকার আহসান উল্লাহর ভাড়াটিয়া বাসায় রাজু আহমেদ তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন।
নিহত রুমানা আক্তার পশ্চিম দেলপাড়া এলাকার রবিউল মিয়ার মেয়ে এবং রাজু রাজধানী ঢাকার ধোলাইখাল এলাকার খালেক মিয়ার ছেলে।
রাজু ধোলাইখাল এলাকায় মোটর পার্টসের ব্যবসা করেন। আট বছর আগে রুমানা ও রাজুর বিয়ে হয়। তাদের সাত বছর বয়সের একটি পুত্র সন্তান আছে।