বিপিএল, হবে না এ বছর ?
কদিন আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান জানিয়েছিলেন, এ বছর বিপিএল শুরু হবে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। সবশেষ যে খবর, এ বছর বিপিএল না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
গত ১৮ এপ্রিল বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে বিসিবি সভাপতি বিপিএলের সম্ভাব্য সূচিও জানিয়ে দিয়েছিলেন—৫ অক্টোবর থেকে ১৬ নভেম্বর। কিন্তু এই সূচি থেকে সরে আসতে হচ্ছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগামী অক্টোবর-নভেম্বর-ডিসেম্বরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অন্য রকম হয়ে যেতে পারে। নির্বাচন ডামাডোলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বেশি ব্যস্ত থাকতে হবে সেদিকেই। এই সময় বিপিএলের মতো বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পাওয়া যাবে কি না, সেটি নিয়ে সংশয় আছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক আজ প্রথম আলোকে বললেন, ‘নির্বাচনের আগে আগে সাতটা দলকে নিরাপত্তা দেওয়া, তিনটা ভেন্যুতে খেলা চালানো খুবই কঠিন। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা যদি না পাই, তবে টুর্নামেন্টটা নির্বাচনের পরেই করতে হবে। সেটি হলে জানুয়ারির দিকে আয়োজন করা হতে পারে।’ মল্লিক এটিও জানিয়ে রাখলেন, জানুয়ারিতে বিপিএলের ষষ্ঠ আসর হলে আগামী বছর অক্টোবর–নভেম্বরে হবে এর সপ্তম আসর। তার মানে এক বছরে দুই বিপিএল।
অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্বাধিকারী সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। নির্বাচনের আগে বিপিএলে পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়া সম্ভব নয় বলে বিপিএল নির্বাচনের পরেই হোক চাইছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরাও। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের চেয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিবের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দলগুলোর নিরাপত্তা, ‘নির্বাচন হয়তো অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক করবেন। কিন্তু আমাদের চিন্তাটা হচ্ছে নিরাপত্তা নিয়ে। প্রত্যেকটি দলকে পর্যাপ্ত পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য যদি না দিতে পারি, তবে আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তবে পেছানোর ভালো সম্ভাবনা আছে।’
আগামী জানুয়ারিতে পূর্ণাঙ্গ সফরে বাংলাদেশে আসার কথা জিম্বাবুয়ের। জানুয়ারিতে বিপিএল হলে পরিবর্তন আসবে জিম্বাবুয়ে সিরিজের সূচিতেও। আর বিপিএলের জন্য বরাদ্দ অক্টোবর-নভেম্বর মাসটা যেন একেবারে ফাঁকা পড়ে না থাকে, সেটির বিকল্পও ভাবতে হচ্ছে বিসিবিকে।