শাবনূর আপুকে দেখে অভিনয়ে এসেছিলামঃ আঁচল
হালের জনপ্রিয় নায়িকাদের একজন আঁচল। মিষ্টি চেহারার এ নায়িকা ২০১১ সালে ‘বেইলি রোড’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। ওই বছরই মুক্তি পায় তার ‘ভুল’ নামের আরেকটি ছবি। দুটি ছবিই ছিল বিকল্প ধারার।
তবে তিনি পরিচিতি পান নায়ক বাপ্পি চৌধুরীর বিপরীতে ‘জটিল প্রেম’ ছবির মাধ্যমে। ছবিতে তার অভিনয় দর্শকদের বেশ নজর কাড়ে। এ ছবির মাধ্যমে বাণিজ্যিক ধারার ছবিতে অভিষেক হয় তার।
এরপর শাহ মোহাম্মদ সংগ্রাম পরিচালিত ‘কি প্রেম দেখাইলা’ ছবিতেও আঁচলের অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এই সময়ের সুপারস্টার শাকিব খানের বিপরীতে ‘ফাঁদ’ নামের একটি ছবিতেও অভিনয় করছেন তিনি।
আঁচল অভিনীত অন্য ছবিগুলোর মধ্যে ‘প্রেম প্রেম পাগলামি’, ‘আজব প্রেম’ এবং ‘কিস্তিমাত’ উল্লেখযোগ্য।
উপরের ছবিগুলোর মধ্যে চারটি ছবিতেই নায়ক বাপ্পী চৌধুরীর বিপরীতে অভিনয় করেন আঁচল।
বর্তমানে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের মধ্যম সারির একজন তারকা আঁচল। বিনোদন জগৎ হোক বা খেলার জগৎ, সবখানেই অধিকাংশ তারকা তাদের কাজের প্রেরণা হিসেবে কাউকে না কাউকে আইডল মনে করেন। তাকে দেখে দেখে জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখেন। আঁচলের অভিনয়ে আসার পেছনেও আছেন তেমন একজন মানুষের প্রেরণা।
বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সফল নায়িকা শাবনূরের অভিনয় দেখে আঁচল নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। শাবনূরের প্রথম দিকের প্রায় সব ছবিই তাঁর দেখা। ওই সময়ের শিশু আঁচল শাবনূরের অভিনয় দেখে বাসাতে সেগুলো চর্চাও করতেন।
অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে শিশু আঁচল নাচ শেখার জন্য ভর্তি হয়ে যান খুলনার আনন্দধারা একাডেমিতে। তিনি ভালো করেই জানতেন, অভিনয়ে আসার জন্য নাচ শেখাটাও জরুরি।
অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন ওই সময় তিনি এসিআই গ্রুপের একটি বিজ্ঞাপনেও অংশ নেন। আঁচলের ছোটবেলা কেটেছে খুলনায়। সেখানকার পাইওনিয়র গার্লস স্কুলের ছাত্রী ছিলেন তিনি।