পাথরঘাটায় চাচা শ্বশুড়ের নির্যাতনে ভিটে বাড়ী ছাড়লো গৃহবধূ

আকন মোঃ বসির
আকন মোঃ বসির, প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮:১৩ পিএম, ১১ মে ২০১৮

প্রতীকী ছবি
পাথরঘাটা প্রতিনিধিঃ বরগুনার পাথরঘাটায় এক প্রবাসীর স্ত্রী প্রতিবশেীর নির্যাতনের শিকার হয়ে মামলা দায়েরের পর নিরাপত্তহীনতায় কন্যা সন্তান নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের কালিপুর গ্রামের জামাল হোসেন নামের প্রবাসীর স্ত্রী খাদিজা বেগম দু’সপ্তাহ ধরে বাবার বাড়ির আশ্রয় রয়েছেন।

খাদিজা বেগম জানান, তার স্বামী জামাল হোসেন ও ছেলে মালদ্বীপ প্রবাসী। তিনি ওই বাড়িতে ৮ম শ্রেণি পড়–য়া মেয়েকে নিয়ে বসবাসরত ছিলেন। প্রতিবেশী আজিজ খান দীর্ঘদিন ধরে তাকে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছে। বিষয়টি তার ছেলেদের জানালে আরও ক্ষিপ্ত হয় আজিজ। সে সুযোগ পেলেই অশ্লীল কথাবার্তা বলে বেড়াতেন এবং তার নামে এলাকায় বদনাম ছড়াতেন। গতমাসের ২৩ তারিখ সকাল ১০টা দিকে আজিজ খান খাদিজার ঘরে ঢুকে তাঁেক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। এসময় আজিজ খান ও তার ছেলে কামাল ও মামুন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উল্টো খাদিজাকে অশ্রাব্য গালাগাল ও মারধর করে। প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাঁেক উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনার পর গত ২৫ এপ্রিল খাদিজা বেগম আজিজ, কামাল ও মামুনকে আসামী করে বরগুনা নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আসামীরা চরম ক্ষিপ্ত হয়ে নানা ধরনের হুমকী ধামকি দিতে থাকলে নিরাপত্তাহীনতায় মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ি কামারহাট সংলগ্ন এলাকায় আশ্রয় নেন।

খাদিজা বেগম বলেন, আসামীদের ভয়ে আমার মেয়ের পড়াশোও বন্ধ করতে হয়েছে। আমি বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিলেও একপ্রকার গৃহবন্দি দিন কাটাতে হয়। আমি আজিজ গংদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, আজিজ একপ্রকার দুর্বৃত্ত টাইপের লোক। চুরি ডাকাতিসহ তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তার ছেলে কামালের বিরুদ্ধেও মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে আজিজদের বাড়িয়ে গেলে তারা প্রতিবেদকের সাথে কথা না বলে গা ঢাকা দেন। হলদী বেগম নামের আজিজের এক আত্মীয় বলেন, মহিলা (খাদিজা) খুবই খাড়াপ। তার ঘরে বিভিন্ন লোকজন আসে। আমরা নিষেধ করলে আমাদের সাথে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। ওইদিন তাকে কেউ মারধর করেনি। এসব মিথ্যা বানোয়াট।

পাথরঘাটা থান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা খবীর উদ্দিন বলেন, আদালতে অভিযোগ করেছেন খাদিজা। আদালতের নির্দেশনানুসারে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। নিরাপত্ত নিয়ে শংকা থাকলে আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমার আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।
এ এম বি। পি এন

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)