সমঝোতায় ছাত্রলীগ কমিটি !
অনলাইন ডেস্কঃ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন শুরু হচ্ছে আজ শুক্রবার। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিকাল ৩টায় দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হবে। সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগের সম্মেলনকে সফল করতে এরইমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সম্মেলন স্থলকে সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা হবে।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানান, ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ ও সিন্ডিকেটের কমিটি ঠেকাতে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। এ জন্য এবারের সম্মেলনে ভোটের পরিবর্তে সমঝোতার মাধ্যমে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশের ঘটনা আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠনে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারাও গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি প্রায় উপস্থাপন করেন।
শুধু তাই নয় ছাত্রলীগের কিছু সাবেক নেতার সিন্ডিকেট দ্বারা প্রভাবিতরাই সংগঠনের পরবর্তী নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়ে আসছে। ওই নেতৃত্ব দ্বারা পরিচালিত ছাত্রলীগকে নান সময় পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন সংকটে। ফলে ছাত্রলীগের আদর্শ ও ঐতিহ্য নষ্ট হচ্ছে। আর এই সুযোগে অনুপ্রবেশের মত ঘটনা ঘটছে। এতে করে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে এবং সংঘাত-সংঘর্ষের মত ঘটনাও ঘটছে। এ জন্য আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা সিন্ডিকেট ভাঙার উদ্যোগ নিয়েছেন।
তার উপর এবার ছাত্রলীগের কমিটি গঠনে সিন্ডিকেট দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে বিকল্প চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। সে জন্য সমঝোতার বিষয়টিই ভাবা হচ্ছে।
সমঝোতার ভিত্তিতে কমিটি গঠনের এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আলোচনায় আসে গত ২ মে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর। সম্মেলনে গাজী টিভির সিনিয়র রিপোর্টার সাজু রহমান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচনের পদ্ধতি আছে। তালিকায়ে আসা আগ্রহীদের ডেকে সমঝোতার চেষ্টা করা হয়। সমঝোতা হলে এই কমিটির প্রেস রিলিজ দেয়া হবে। অন্যথায় স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে ভোট হবে। তবে ভোটের মাধ্যমে কমিটি হওয়ার ঝামেলা আছে। তারা ইয়াং ছেলেপুলে, ভোটের মধ্যে অনেক কিছুই হতে পারে। প্রভাবিত হতে পারে। তবে আমরা দেখবো ভোটের মধ্যে যোগ্য নেতৃত্ব এসেছে কিনা। না এলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ২৯ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি চাই ত্যাগী, যোগ্য নেতৃত্ব। কোনো সিন্ডিকেট দ্বারা ছাত্রলীগ চলবে না। ছাত্রলীগ চলবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে, শেখ হাসিনার নির্দেশনায়।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, আমাদের নেত্রী যেভাবে ভালো মনে করবেন সেভাবেই হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ চলবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে। নেত্রীর নির্দেশনায়।
এ এম বি। পি এন