আগেররূপে ফিরিয়ে আনতে নিয়মিত ডায়েট ও ব্যায়াম করছেন শাবনূর।
চলচ্চিত্রে ফেরার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। তাই প্রস্তুতি হিসেবে গত বছরের শুরু থেকেই নিজের শরীরটাকে ফিট রাখার চেষ্টা করছেন। নিজেকে আগেররূপে ফিরিয়ে আনতে নিয়মিত ডায়েট ও ব্যায়াম করছেন শাবনূর।
এ প্রসঙ্গে তার স্বামী অনিক জানান, ‘বড়পর্দায় ফেরার জন্য মুখিয়ে আছে শাবনূর। তাই বছরখানেক ধরে ফিটনেস নিয়ে সে বেশ সচেতন হয়েছে। নিয়মিত জিম করছে।
রোজ সকালে কমপক্ষে ৩০-৪৫ মিনিট জিমে ব্যয় করছে। অস্ট্রেলিয়ায় তার জন্য তো আলাদা ট্রেইনার রেখেছিলাম। দেশে ফেরার পরও একজন ট্রেইনার রাখা হয়েছে। আমিও মাঝেমধ্যে ওর সঙ্গে জিমে যাই। একসঙ্গে জিম করাটা বেশ উপভোগ্য।
অনিক বললেন, ‘জিমটা তার নিজের শরীরের জন্য যেমন জরুরি তেমনি সিনেমায় অভিনয়ের জন্যও দরকার। সে কারণেই ফিটনেস মেইনটেইন করতে আমি বরাবরই উৎসাহিত করি তাকে।
আর এটা সত্য, বর্তমানে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে শাবনূরের মতো আর্টিস্টের দরকার আছে। তার আসলে বিকল্প হয় না কখনো। স্বামী হিসেবে তাকে নিয়ে গর্ববোধ করি। আমিও চাই সে আবার সিনেমায় নিয়মিত অভিনয় করুক।
শাবনূরের এই আপ্রাণ চেষ্টাটা ব্যর্থ হয়নি। যার কয়েক ঝলক দেখা মিলেছিল, সম্প্রতি তোলা কিছু ছবিতে। সেই মুটিয়ে যাওয়া শাবনূরকে বেশ স্লিম দেখা গেছে।
এরপর থেকে পরিচালকরাও হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন শাবনূরের বাসায়। কিন্তু যুৎসই চরিত্র আর গল্প পাচ্ছে না রাজি হচ্ছেন না। গড়পড়তা সিনেমায় কাজের পক্ষপাতি কখনোই ছিলেন না তিনি।
অনিকের ভাষ্যে, ‘তাকে কেন্দ্র করে নির্মিত চলচ্চিত্রে অভিনয়ে বেশ আগ্রহী। সূচরিতা ম্যাডামকে এ ক্ষেত্রে ফলো করছে। তিনি যেমনটা বেছে বেছে কাজ করছেন, শাবনূরও ভালো গল্পের অপেক্ষায় আছেন।’
এদিকে, ‘ইউরো স্টার’ নামের একটি কোম্পানির চুলার বিজ্ঞাপনে কাজ শুরু করার কথা রয়েছে। আর কিছু সিনেমাও হাতে আছে। শুটিংয়ের বিষয়টি নির্ভর করছেন তার শিডিউলের উপর।
মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘এত প্রেম এত মায়া’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। শিগগিরই ছবিটির শুটিংয়ে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন নির্মাতা মানিক।
এতে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের অভিনয় করার কথা আছে। আপাতত অস্ট্রেলিয়ায় ফিরছেন না তিনি। বছরটা দেশেই কাটাবেন। সঙ্গে কাজেও নিয়মিত হবেন।
পরিচালক এহতেশামের হাত ধরে ‘চাঁদনী রাতে’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষিক্ত হন এই নায়িকা। সালমান শাহর সঙ্গে তার জুটি বেঁধে বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দেন তিনি। ১৯৯৪ সালে এ জুটির প্রথম ছবি ‘তুমি আমার’ মুক্তি পায়।
পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ১৯৯৬ সালে ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘তোমাকে চাই’, ১৯৯৭ সালে শিবলি সাদিক পরিচালিত ‘আনন্দ অশ্রু’ দর্শকপ্রিয়তা পায়।
সালমানের মৃত্যুর পর ওমর সানী, আমিন খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করলেও সাড়া ফেলতে পারেননি। তবে রিয়াজের সঙ্গে জুটি বেঁধে আকাশচুম্বী সাফল্য পেয়েছেন তিনি।
জুটির ‘মন মানে না’, ‘তুমি শুধু তুমি’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’ ও ‘বুক ভরা ভালোবাসা’র মতো আলোচিত সিনেমায় দেখা গেছে। পাশাপাশি ফেরদৌস, মান্না, শাকিব খানের বিপরীতেও উল্লেখ করার মতো বেশ কয়টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
২০১১ সালের ২৮ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী অনিক মাহমুদকে বিয়ের পর সিনেমায় অনিয়মিত হয়ে পড়েন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় বাস করছিলেন।
শাবনূর-অনিক দম্পতির একমাত্র পুত্র আইজান নিহান। মা হওয়ার পর পুত্রকে সময় দিতেই অভিনয়কে সাময়িকভাবে ‘না’ করে দিয়েছিলেন শাবনূর।
তার পুত্র সিডনী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চাইল্ড কেয়ারে পড়ছে। পুত্রকে নিয়ে আপাতত চিন্তা নেই তার। তাই এবার নিজের ক্যারিয়ারের দিকে মনোযোগী হওয়ার পরিকল্পনা করেছেন
এ এম বি । পি এন