শম্ভুর বিপুল বিত্ত আ. লীগ ঘরহীন
২৬ বছর ধরে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন বরগুনা-১ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু (৭০)। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে চারবার এমপি, একবার উপমন্ত্রী হয়েছেন, আরেকবার হয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে কপর্দকহীন থেকে মালিক হয়েছেন তিনি আকাশচুম্বী বিত্তবৈভবের। নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে নিজের অবস্থা ও অবস্থান পাল্টে নিলেও সামান্য পরিবর্তন আনতে পারেননি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়টির।
এখন পর্যন্ত বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের নিজস্ব কোনো কার্যালয় নেই। নেই নেতাকর্মীদের বসার ভালো পরিবেশ। শহরের ফার্মেসিপট্টি এলাকায় উপজেলা পরিষদের জমিতে বাঁশ, কাঠ ও টিনের তৈরি একটি নামমাত্র কার্যালয় থাকলেও সেখানে নেই সাইনবোর্ড। নিয়মিত পরিশোধ
করা হয়নি উপজেলা পরিষদের জমির ভাড়া। একই শহরে বরগুনা জেলা বিএনপির কার্যালয়টির দৃশ্য সম্পূর্ণ উল্টো। পাকা ভবনের সামনে রয়েছে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা টানানোর স্থায়ী খুঁটি। ভবনের ভেতরে রয়েছে পর্যাপ্ত চেয়ার-টেবিল আর প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বরগুনা জেলা কার্যালয়ের এমন দুরবস্থা নিয়ে রাগ, ক্ষোভ ও অভিযোগের কথা উঠে এসেছে জেলা আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মুখে। বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব মৃধা বলেন, ‘যে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে ও সুবিধা নিয়ে, এমপি শম্ভু আজ শত কোটি টাকার মালিক, সেই আওয়ামী লীগের জন্য গত ২৬ বছরেও তিনি বানাতে পারেননি একটি নিজস্ব কার্যালয়। অথচ মূল শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সুবিশাল একাধিক বাড়ি বানাতে পেরেছেন ঠিকই। এটি আমাদের জন্য, জেলা আওয়ামী লীগের জন্য দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই না।’ মোতালেব মৃধা আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জেলা কার্যালয় স্থাপন এবং বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বানানোর কথা বলে রাজধানী ঢাকার একজন বড় শিল্পপতির (যাঁর বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলায়) কাছ থেকে এক কোটি টাকা নিয়েছেন এমপি শম্ভু। অথচ কোনো কাজই করেননি।’
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক মশিউর রহমান সিহাব জানান, একসময় এমপি শম্ভুর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল। কিন্তু অনিয়ম-দুর্নীতি ও লোক দেখানো জনসেবার কারণে তিনি তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। তিনি বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার গুলশানে এমপি শম্ভুর তিন হাজার ৩০০ স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। বারিধারা আবাসিক এলাকায় এবং প্রিয় প্রাঙ্গণে তাঁর স্ত্রী-কন্যাসহ পরিবারের সদস্যদের নামে চারটি প্লট রয়েছে। মধ্যবাড্ডা এলাকায় রয়েছে এক হাজার ৩০০ স্কয়ার ফিটের দুটি ফ্ল্যাট। নিজের গাড়ি ছাড়াও তাঁর স্ত্রী-কন্যাদের জন্য মোট চারটি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে।
মশিউর রহমান সিহাব আরো বলেন, এমপি শম্ভু প্রায়ই বলে থাকেন, তাঁর কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য নেই। তিনি কখনো দুর্নীতি করেন না। তাহলে কী করে এত বিত্তবৈভবের মালিক হওয়া সম্ভব? বারিধারা ও প্রিয় প্রিয়াঙ্গনের সঙ্গে ল্যান্ড ফেয়ারলীতেও এমপি শম্ভুর আরো দুটি প্লট রয়েছে। একসময় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কারণে এসব বাড়ি ও ফ্ল্যাটের সব ঠিকানা তাঁর জানা।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, ‘সীমাহীন দারিদ্র্য থেকে এমপি শম্ভু বর্তমানে আকাশচুম্বী ধনদৌলতের মালিক। অথচ জেলা আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয় পর্যন্ত তিনি গত ২৬ বছরে বানাতে পারেননি। এ দায় একমাত্র তাঁরই। কারণ ২৬ বছর ধরে তিনি বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রয়েছেন। চারবার হয়েছেন এমপি। একবার হয়েছেন খাদ্য উপমন্ত্রী, আরেকবার হয়েছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। তাঁর সদিচ্ছা থাকলে এটি সম্ভব হতো।’
বরগুনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুর রহমান মারুফ বলেন, ‘বরগুনার মহাসড়ক এলাকায় প্রায় দুই বিঘা জমি নিয়ে বিশাল বাড়ি বানাচ্ছেন এমপিপুত্র সুনাম দেবনাথ। তিনি আরো বলেন, গত দুই বছরে বরগুনার ৪২টি ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য করেছেন এমপি শম্ভু। সেসব অর্থের ১০ শতাংশ খরচ করলেও জেলা আওয়ামী লীগের অন্তত পাঁচটি কার্যালয় বানানো যেত।’
বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, ‘দীর্ঘ ২৬ বছরে আমরা বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয় বানাতে পারিনি—এ দুঃখ ঘোচার নয়।’ এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভায় একাধিকবার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং তিনিসহ বহু নেতাকর্মী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তিনি কখনোই তা কানে তোলেননি।
জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দুরবস্থা নিয়ে ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, বরগুনা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ালী উল্লাহ অলি। তিনি বলেন, ‘প্রাগৈতিহাসিক গল্পের ভিখু চরিত্রের সঙ্গে মিলে যায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়টির অবস্থা। কারণ, ভিখু যেমন ভিক্ষাবৃত্তি প্রসারের উদ্দেশ্যে ইচ্ছে করে তার শরীরের ঘা কখনো শুকায়নি, ঠিক তেমনি আমাদের বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়টিও কখনোই উন্নত হয়নি। উন্নত হলে অনেকের আয়-বাণিজ্য কমে যাবে যে!’
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বরগুনা পৌরসভার একাধিকবার নির্বাচিত মেয়র, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বরগুনার সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান বলেন, ‘দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। একসময় অভাবের কারণে বরগুনা শহরের আমতলারপাড় এলাকার পৈতৃক জমিজমার অধিকাংশই বিক্রি করে দেয় এমপি শম্ভুর পরিবার। অথচ দলীয় প্রভাব এবং সংসদ সদস্যের ক্ষমতার অপব্যবহার করে গত কয়েক বছরের ব্যবধানে তিনি বর্তমানে শত কোটি টাকার মালিক। আর আমতলারপাড়ের সেই সামান্য বাড়িটির আয়তন এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় দুই একর। যেখানে তৈরি করা হয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি।’
বরগুনার স্বনামধন্য ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম আবদুল মজিদ মিয়ার ছেলে বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বরগুনা শহরের সঙ্গেই তাঁর ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের ধুপতি-ভুতমারা এলাকায় সরকারের প্রায় ১৫ একর খাসজমি রয়েছে। কিছুদিন আগে যাত্রা অনুষ্ঠানের নামে এই বিশাল খাসজমিটি দখলের জন্য পাঁয়তারা চালিয়েছিলেন এমপি শম্ভু, তাঁর ছেলে সুনামসহ কিছু দুর্নীতিবাজ নেতাকর্মী। স্থানীয় লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে তাঁদের সে অপচেষ্টা প্রতিহত করে দেয়।’
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি, সাবেক এমপি ও বরগুনা জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে থেকে অনিয়ম-দুর্নীতিতে এমপি শম্ভু রেকর্ড গড়েছেন। তাঁর দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে অনেক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনও ছাপা হয়েছে।’ তিনি বলেন, যে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে তিনি কোটি কোটি টাকার বিত্তবৈভবের মালিক, সেই আওয়ামী লীগের বরগুনা জেলা কার্যালয়ের দিকে তিনি কখনো ফিরে তাকানোর সময় পাননি। তিনি আরো বলেন, ১৯৯০ সালে যখন তিনি (দেলোয়ার হোসেন) উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন তখন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের জন্য শহরের ফার্মেসিপট্টি এলাকায় উপজেলা পরিষদের ছোট্ট একটি ঘরসহ এক টুকরো জমি লিজ দিয়েছিলেন। সেই জমিতে সেই একই রকম অবস্থায় পড়ে রয়েছে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ মো. জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি অনেকবার চেষ্টা করেছি শহরের কোনো একটি জায়গায় জেলা আওয়ামী লীগের নামে আইনগত প্রক্রিয়ায় সামান্য জমি বরাদ্দ নিতে। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সহযোগিতা চেয়েও পাওয়া যায়নি। উল্টো ষড়যন্ত্র করেছেন যেন তা না হয়। জাহাঙ্গীর কবীর আরো বলেন, এর আগে আওয়ামী লীগ অফিসের নামে জমি নিয়ে শহরের উকিলপট্টি এলাকায় নিজের বিশাল চেম্বার বানিয়েছেন এমপি শম্ভু। তিনি আরো বলেন, ‘সম্প্রতি জেলা কার্যালয়টি সংস্কারের জন্য তিনি ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন এবং এমপি শম্ভু দিয়েছেন এক লাখ টাকা। এই দিয়ে আপাতত সংস্কারকাজ চলছে।’
এ ছাড়া খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরগুনার নবসৃষ্ট তালতলী উপজেলাকে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করার পর এবং পার্শ্ববর্তী কলাপড়া উপজেলায় পায়রা বন্দর হওয়ায় কলাপাড়াসহ তালতলী উপজেলায় জমির দাম বেড়ে যায় চার থেকে পাঁচ গুণ। সে সময় তালতলীর সোনাকাটা ইকো পার্ক সংলগ্ন ফকিরহাট এলাকায় এমপি শম্ভু নিজের নামে প্রায় তিন একর জমি ক্রয় করেন, যার বর্তমান বাজারমূল্য দুই কোটি টাকার বেশি।
অন্যদিকে বরগুনার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এমপি শম্ভুর স্ত্রী মাধবী দেবনাথের নামে খাগদন ভাড়ানী খালসংলগ্ন সরকারি জমি দখল করার অভিযোগে একটি উচ্ছেদ মামলা ২(বি) ১৫/১৬ রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া তালতলীর বড়বগী ইউনিয়নের নয়া ভাইজোড়া গ্রামের ইউপি সদস্য আবদুস সালামের বাড়িতে হামলা ও লুটতরাজ চালিয়ে তাঁর ১৮ একর জমি দখল করে নেয় স্থানীয় ভূমিদস্যুরা। এ সময় ওই জমিতে টাঙিয়ে দেওয়া হয় এসএসডি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি কম্পানির সাইনবোর্ড। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, এসএসডি এন্টারপ্রাইজ এমপি শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথের একটি প্রতিষ্ঠান। সে সময় সুনাম দেবনাথের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় তাঁদের ১৮ একর জমি জবরদখল করে নেয় একটি চক্র।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু তাঁর বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘একজন এমপি হিসেবে সরকারি অর্থ ব্যয়ের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সুতরাং কোনোরূপ দুর্নীতির প্রশ্নই আসে না।’ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি একটি সামষ্টিক সিদ্ধান্তের বিষয়। এত দিন হয়নি এখন হচ্ছে। সম্প্রতি তিনি আওয়ামী লীগের জেলা কার্যালয় সংস্কারের জন্য দুই লাখ টাকা দিয়েছেন যা দিয়ে সংস্কারকাজ চলছে বলে জানান তিনি।
এর আগে এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাঁকে বয়কট করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং একাধিক সহসভাপতিসহ জেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সরাসরি দেখা করে এমপি শম্ভুর অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ২৪ দফা অভিযোগ লিখিতভাবে দাখিল করেন তাঁরা।
সুত্রঃ কালের কন্ঠ
নিউজটি কালের কণ্ঠ অনলাইনে দেখতে এখানে ক্লিক করুন