গলাচিপায় ধর্ষণ মামলায় কারাগারে
ছাত্রীর ধর্ষণের মামলায় গলাচিপার সহকারী শিক্ষক কম্পিউটার রুহুল আমিন প্যাদাকে সোমবার (৭ মে) আদালতে প্রেরণ করেছে গলাচিপা থানা পুলিশ।
রোববার রাতে তাকে পটুয়াখালীর মহিলা কলেজের এলাকা থেকে রাতে আটক করে পটুয়াখালী থানা পুলিশ। ওই রাতে শিক্ষক রুহুল আমিন প্যাদাকে গলাচিপা থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
সোমবার সকালে শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী শিশু ও ধর্ষনের মামলা দায়ের করে ছাত্রীর মা মর্জিনা বেগম।
জানা গেছে, রুহুল আমিন গলাচিপা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া এবি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিষয়ের একজন সহকারী শিক্ষক। সে উপজেলার চিকনিকান্দি ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের আব্দুল করিম প্যাদার পুত্র। এদিকে, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ে গুয়াবাড়িয়া এবি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে থেকে ২০১৭ সালে এসএসসি বিজ্ঞান শাখা থেকে পাশ করে পটুয়াখালী সরকারী মহিলা কলেজে ভর্তি হয়। স্কুলে পড়া অবস্থায় ওই শিক্ষকের কু নজর পরে ছাত্রীর উপর। ফলে শিক্ষক ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অনৈতিক কাজের সাথে বাধ্য করা হয় বলে ধর্ষিতার পারিবারিক সূত্র দাবি করে।
গুয়াবাড়িয়া এবি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোশাররফ হোসেন সবুজ জানান, রুহুল আমিন প্যাদা তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক । তবে অনৈতিক কাজের জন্য কারাগরে গেলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ডেকে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে গলাচিপা থানা ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: জাহিদ হোসেন জানান, আটককৃত শিক্ষককের বিরুদ্ধে নারী শিশু ও ধর্ষনের মামলা হয়েছে। তাকে গলাচিপা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৭ মে