ছাত্রলীগের সম্মেলনে মঞ্চ হবে নৌকা আকৃতির
বাংলাদেশের ছাত্রসংগঠনের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীনতম সংগঠন ছাত্রলীগ। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠনটি আওয়ামী সমর্থিত সংগঠন হওয়ায় দেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রীতিও ভালবায় সমর্থন রয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন নেতৃত্ব আনার জন্য, ১১ ও ১২ মে শুক্র-শনিবার ২৯তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনকে সফল করার জন্য ১৬টি উপ-কমিটি গঠন করে জোরেসরে এগিয়ে চলছে সম্মেলনের প্রস্তুতি।
মঞ্চ উপ-কমিটির আহবায়ক ও ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাকসুদ রানা মিঠু আমাদেরসময়.কমকে বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সম্মেলন করা হচ্ছে। সম্মেলনের মূল মঞ্চ হবে আওয়ামী লীগের দলীয় নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’ আকৃতির। মঞ্চের চারপাশে থাকবে বঙ্গবন্ধুর ছাপানো বড় বড় ব্যানার ও ফেষ্টুন। মঞ্চের পিছনে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা বাঙ্গালির জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি।
এশিয়া উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীণ এই রাজনৈতিক দলের ভাতৃপ্রতিম সংগঠনটির সম্মেলনে দলীয় এমপি, মন্ত্রীও দলীয় নেতারা ও উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলনে বাংলাদেশের বিভিন্ন ছাত্রসংগঠকে আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি ভারত, থাইল্যান্ড, মালেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রাজধানীসহ সারা দেশের ছাত্রলীগের জেলা-উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা সম্মেলনে যোগদিবেন।
ছাত্রলীগকে আরো বেগবান করার জন্য নতুন নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নাই। তাই কয়েকদিন আগে ঢাকা মহানগর দক্ষিন, উত্তর এবং ছাত্র রাজনীতির মূলকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন শেষ হয়েছে। এখন শুধু কেন্দ্রীয় সম্মেলন বাকি আছে। এ সম্মেলনের পর নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কমিটি গঠিত হবে।
১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে সংগঠনটির সারাদেশে ১০১টি ইউনিটে একঝাঁক তরুন দায়িত্ব পালন করছে।(সূত্রঃ আমাদের সময়.কম)
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৭ মে