পাথরঘাটায় মুগ ডালের বাম্পার ফলন, ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না চাষিরা
পাথরঘাটায় চলতি বছরে অর্থকরী রবিশস্য মুগডালের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে মধ্যস্বত্বভোগী আড়তদারদের সিন্ডিকেটের কারণে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না বলে দাবি চাষিদের। পাথরঘাটা বাজারসহ কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।
অপরদিকে উপজেলা কৃষি অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে মুগডালের চাষ করা হয়েছে এবং গত বছরের তুলনায় এ বছর দ্বিগুন ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
পাথরঘাটায় অর্থকরী রবিশষ্য সোনামুখী মুগডাল এক সময় দেশ-বিদেশ জুড়ে সমাদৃত ছিল। কিন্তু কৃষি বিভাগের হাইব্রিড মুগডালের উৎকর্ষতার কারণে সে সোনামূখী মুগডাল এখন বিলুপ্তির পথে। অধিক ফলন পাওয়ার আশায় কৃষকরাও এখন সোনামুখী মুগডালের পরিবর্তে হাইব্রিড মুগডাল চাষে ঝুঁকে পড়ছেন।
পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা আ: হাকিম পাথরঘাটা নিউজকে জানান, চলতি বছরে পাথরঘাটা উপজেলায় ১১ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড মুগডাল চাষ করা হয়। যার মধ্যে ৯ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে সোনা মুগ, ১ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে কান্তি মুগ, ৯২০ হেক্টর জমিতে বারি-৬ চাষ করা হয়। এছাড়া গত বছরের তুলনায় ৬০ ভাগ পতিত জমিতেও মুগডাল চাষ করা হয় বলে জানান।
অপরদিকে বেশি ফলন পাওয়ার আশায় স্থানীয় জাতের সোনামুখী মুগডাল এখন চাষই করা হচ্ছেনা। চৈত্রের মাঝামাঝি সময় থেকে জৈষ্ঠ্যের প্রথম দিক পর্যন্ত মুগডাল তোলা হয়। পাথরঘাটার বাজারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আশা পাইকারদের কাছে বিক্রি করতে স্থানীয়সহ উপজেলায় আশপাশের গ্রামের উৎপাদিত হাজার হাজার টন মুগডাল নিয়ে কুষকরা প্রতি হাটের দিন হাজির হন। পাইকাররা স্থানীয় আরৎদারদের মাধ্যমে ওই ডাল ক্রয় করে থাকেন।
ছোট পাথরঘাটা গ্রামের মো: হাবিবুর রহমান, কাকচিড়া গ্রামের মো: জাকির, সোনা মিয়া, বাবুলসহ একাধিক কৃষকরা পাথরঘাটা নিউজকে জানান, স্থানীয় আড়ৎদাররা পাইকারদের থেকে অগ্রিম টাকা আনার সুযোগ গ্রহণ করায় কৃষকদের স্বার্থের পরিবর্তে পাইকারদের স্বার্থে সিন্ডিকেট করে ডালের দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন। বৈশাখের প্রথম দিকে প্রতি মণ মুগডাল ২ হাজার ৬শ’ টাকা থেকে ২হাজার ৮শ’ টাকা ছিল। কিন্তু স্থানীয় ও পাথরঘাটার বাহিরের আরৎদারদের সিন্ডিকেটের কারণে বর্তমানে প্রতি মণ মুগডালের দাম ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০ টাকায় নেমে এসেছে। ফলে তারা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৬ মে