আজ ৩ দিন! গ্রেফতার হয়নি আতুর সোহাগ ও রুবেল
অনলাইন ডেস্কঃ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুল্লাহকে (২৩) কুপিয়ে মারত্মকভাবে জখম ও পায়ের রগ কর্তনের ৩ দিন অতিবাহিত হলেও ঘাতক পৌর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সোহাগ ওরফে আতুর সোহাগ ও রুবেলকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ ফেরুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে পৌর ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক মো. সোহাগ মিয়া ও তার সহযোগি রুবেল কুটিয়াল প্রকাশ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আ. গণি হাওলাদারের বাড়ির সামনে কুপিয়ে ফুসফুস, কিডনি ও হৃৎপন্ডে মারাত্মকভাবে জখম করে এবং ডান পায়ের রগ কর্তন করে। আসাদুল্লাহ পাথরঘাটা পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও মো. আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবীর আহম্মেদ জানান, ঘটনার পরই সন্ত্রাসী আতুর সোহাগের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রামদাসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হলেও সোহাগকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার রাতে গুরুতর আহত আসাদুল্লাহর বাবা মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার ৫জনকে আসামী করে মামলা করেছে। সোহাগের সহযোগি রুবেলের বাবা ওই মামলার ৩নম্বর আসামী মো. জাহাঙ্গীর খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের জন্য জোর চেষ্টা চলান হচ্ছে।
এদিকে উপজেলা, পৌর ছাত্রলীগের একাধিক নির্ভরযোগ্য নেতাকর্মী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্র থেকে জানাগেছে, সোহাগ ওরফে আতুর সোহাগ বিভিন্ন জায়গায় ভাড়ায় গিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে। এসব কর্মকান্ডের কারণে সে এলাকায় আতুর সোহাগ নামেই পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।একারণে ছাত্রলীগের কমিটি থেকে সোহাগকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আতুর সোহাগ পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল হোসেন বেলাল এর সহযোগী বলেও দাবী করেন নাম না প্রকাশের শর্তে উপজেলা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান সোহাগ জানান, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর কারণে সম্প্রতি পৌর কমিটি থেকে সোহাগকে বহিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছি।
তবে সোহাগ ওরফে আতুর সোহাগ পৌর ছাত্রলীগের কমিটিতে নেই বলে দাবী করেছেন পাথরঘাটা পৌরছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল হোসেন বেল্লাল ও পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মধু ।
তারা আরো জানান, সোহাগ পৌর ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক হিসেবে ছিল। তার কর্মকমান্ডের কারণে সম্প্রতি তাকে রেজুলেশনের মাধ্যমে কমিটি থেকে বহিষ্কার হয়েছে।
এদিকে আসাদুল্লাহর বড়ভাই হাসান বলেন, বর্তমানে আসাদুল্লাহকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় সারা শরীরের সাদা হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে আসাদুল্লাহর ফুসফুসে ও মাথায় ভিন্ন ভিন্ন দুটি অপারেশন হয়েছে।