সৌদি আরবে প্রথমবারের মতো নির্মাণ করা হচ্ছে গির্জা
অবশেষে সৌদি আরবে প্রথমবারের মতো নির্মাণ হতে যাচ্ছে খ্রিষ্টানদের উপাসনালয়। দেশটিতে গির্জা প্রতিষ্ঠা করতে সৌদি কর্তৃপক্ষ ও ভ্যাটিকানের এক কার্ডিনালের মধ্যে ইতিমধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। মিশরীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে খবরটি জানায় আল জাজিরা ও ডেইলি মেইল অনলাইন।
গত বুধবার অনলাইন পত্রিকা ইজিপ্ট ইনডিপেনডেন্ট জানায়, আন্তঃধর্মীয় সংলাপের জন্য গঠিত বিশপ পরিষদের প্রধান জন লুইস তাওরান গত মাসে এক সপ্তাহের জন্য সৌদি সফরে গিয়েছিলেন। সেখানেই এই চুক্তিটি হয়েছিল বলে জানা যায়।
তবে আল জাজিরা সংশ্লিষ্ট পত্রিকার প্রতিবেদন ছাড়া আর কোনোভাবে চুক্তিটির বিস্তারিত জানতে পারেনি।
এ উদ্যোগের ফলে উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে খ্রিস্টান উপাসনালয় বা গির্জা নেই, এমন দেশ হিসেবে আর থাকছে না সৌদি আরব। এক জ্যেষ্ঠ ক্যাথলিক কর্মকর্তা বলেন, এটা হবে আমাদের সম্পর্ক পুর্নস্থাপনের শুরু। সৌদি কর্তৃপক্ষ দেশটিকে এক নতুন পরিচয় ও রূপে হাজির করতে চাচ্ছেন, এটা তারই আলামত।
তার এ সফর নিয়ে সৌদি আরবের স্থানীয় সংবাদমধ্যমগুলো অনেক সংবাদ পরিবেশন করলেও আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো নিশ্চুপ ছিল। রিয়াদ সফরে লুইস তাওরিন সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমানসহ বেশ কয়েকজন ধর্মীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন।
সৌদি আরবের অন্যতম ওয়াহাবি এনজিও মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগের মহাসচিব শেখ মোহাম্মদ বিন আবদেল কারিম আল ইসসা ও লুইস তাওরিনের মধ্যে এই চুক্তিটি সই হয়েছে।
তারা কেবল একটি উপাসনালয় নির্মাণ করেই ক্ষান্ত হবেন না, প্রতি দুই বছর পর পর মুসলিম-খ্রিষ্টান সম্মেলনের আয়োজন করারও পরিকল্পনা করেছেন।
ভ্যাটিকান নিউজের সাথে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তাওরান নিশ্চিত করেন, সৌদি কর্তৃপক্ষের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে, কিন্তু ভবিষ্যৎে সৌদি আরবে কোনও গির্জা নির্মাণ হবে কীনা এ নিয়ে কোনও কথা বলেননি।
গত কয়েক দশকে সৌদি আরবে বহু অমুসলিম অভিবাসী আশ্রয় নিয়েছেন। দেশটিতে এখন প্রায় ১৫ লাখ অভিবাসী রয়েছেন, যাদের অধিকাংশ ফিলিপাইন থেকে এসেছেন। সৌদি আরবে বর্তমানে ইসলামের বাইরে অন্য ধর্মচর্চা করা নিষিদ্ধ।
এ এম বি। পি এন