সাগররে মাছ ধরার জন্য দিনরাইত খাডি, তবুও ঘামের দাম পাইনা!
‘খালি কাম না, জীবনের ঝূঁকি নিয়া সাগরে দিনরাইত খাইডা (খেটে) হেরপরও পাইনা ঘামের দাম। মোগো মাছ ধরা আর পানিতে ডুইব্যা মরা। এ্যা ছারা আর কিছু কপালেই নাই’ দিনরাত খেটে খাওয়ার আক্ষেপেক্ষে পাথরঘাটা নিউজকে এসব কথাই বললেন বিষখালী নদীর পারের জিনতলা গ্রামের জেলে আব্দুল আউয়াল সরদার।
বিষখালী, বলেশ্বর নদ ও বঙ্গোপসাগরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে জীবনে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু ভাগ্য তার দিকে ফিরে তাকায়নি। তাই ঘুরেনি জীবনের চাকাও। জীবন চলেছে তার নিয়মেই। বংশ পরম্পরায় জেলেরা এ কাজ করছে।
বিষখালী নদীর পারের পাথরঘাটা উপজেলা জেলে পল্লী জিনতলা গ্রামের আউয়ালের মতো শাহিন, আব্দুস ছত্তার, চান মিয়া, জুলহাস মীরসহ একাধিক জেলের সাথে কথা বললে তারা পাথরঘাটা নিউজকে জানান, তারা কখনো প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ, কখনো দস্যুদের সঙ্গে। আবার কখনো নিজের সঙ্গে নিজের যুদ্ধ করি। সব সমস্যা মোকাবেলার পর তিনবেলা খেয়ে বেঁচে থাকার প্রয়োজনটা আমাদের বড় হয়ে দেখা দেয়। আর তাই বহুমুখী প্রতিবন্ধকার মুখে পড়তে হয় প্রায় সারাটা মৌসুম। এতো কিছুর পরেও জেলে পল্লীর জেলে তাদের মহাজন দের কাছ থেকে সঠিক পারিশ্রমিক পাচ্ছে না তারা।
বিষখালী নদীর পারের ট্রলারের মাঝি মো.জাকির হোসেন মীর পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, আমি ছোট থেকেই বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরি। ২৫ বছর ধরে মাঝি হিসেবে কাজ করেও ভাগ্য বদলায়নি আমার। যে ঘাম ঝড়ে তার দামও পাইনা। দাদন আর ঋণের জালতো আছেই আমাদের। তিনি আরো বলেন, একজন জেলে দিনরাত কাজ করেও দেখা গেছে ২শ টাকার বেশী পাইনা আমরা।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, আমাদের এ অঞ্চলের জেলেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে কাজ করে তাতে তাদের জীবনের চাকা ঘোরার কথা না। তাদের সরকারী যে সহায়তা পাবার কথা তাও তারা ঠিক মত পাচ্ছেন না।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৩ মে