জমি নিয়ে বিরোধবরগুনায় কলেজ ছাত্রীকে মারধর
বরগুনা সদর উপজেলার কালিরতবক এলাকায় এক কলেজ ছাত্রী ও তাঁর মা নাজমা বেগমকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশী পলাশ নামের এক ব্যক্তি তাদেরকে মারধর করে। এ ঘটনায় আহত কলেজ ছাত্রী বরগুনা জেনারেল হাসপতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কালিরতবক এলাকায় মৃত আবদুস সালামে সিকদারের মেয়ে বরগুনা আইডিয়াল কলেজে উচ্চমাধ্যমিক ২য় বর্ষে অধ্যায়নরত।
মেয়ে ও মা নাজমা বেগম বলেন, প্রতিবেশী পলাশের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। অপর একজনের জমি কিনে সে আমাদের রেকর্ডিও ও ভোগদখলে থাকা সম্পত্তি দখলের পায়তারা করছে। নানা সময়ে ঠুনকো অযুহাতে পলাশ ও তার স্ত্রী পুত্র মিলে প্রায়ই আমাদের অকথ্য গালিগালাজ করে। মঙ্গলবার (১ মে) সকালে তুচ্ছ ঘটনায় সুমাইয়াসহ আমাদের গালিগালাজ করতে থাকে। এর প্রতিবাদ করায় পলাশ ও তার ছেলে এবং স্ত্রী মজিবুন্নেসা আসমা আমার মেয়ে সুমাইয়াকে মারধর করতে থাকে।
এসময় এগিয়ে গেলে তারা আমাকেও মারধর করে ও অকথ্য গালাগাল করতে থাকে। আমার স্বামী মৃত, একমাত্র ছেলে ঢাকাতে পড়াশোনা করে। আমাদের পরিবারকে জমি থেকে উৎখাত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পলাশ। এর আগেও জমি নিয়ে সালিশ বৈঠকে বসার কথা থাকলেও পলাশ বসতে নারাজ। সে আমাদের সাথে জবরদস্তি করছে।
এ ঘটনায় মঙ্গবার দুপুরে বরগুনা থানায় অভিযোগ করেছি। অভিযোগের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও আসামীদের গ্রেফতার না করেই চলে এসেছে বলে নাজমার অভিযোগ। থানায় অভিযোগ দায়েরের পরও পুলিশ পলাশকে গ্রেফতার না করায় আমিও আমার মেয়ে নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত। অভিযুক্ত পলাশ উল্টো এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে বলে নাজমা বেগমের অভিযোগ।
যোগাযোগ করা হলে পলাশ সিকদার মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমাদের ফাঁসাতে নিজেরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। জমি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে সালিশ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হতে পারে। এ নিয়ে তাদের মারধরের প্রশ্নই আসেনা।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, আমরা অভিযোগের তদন্ত করছি। মারধরের ঘটনার প্রমান পেলে অবশ্যই অভিযুক্তদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২ মে